বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
শনিবার বিকাল ৪টায় ভারতীয় হাইকমিশনারের গাড়ি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তার সঙ্গে ছিলেন উপ-হাইকমিশনার প্রভন বাধে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথমবার ভারতীয় হাইকমিশনার বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক করলেন। এছাড়া এটি প্রণব ভার্মার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্য দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাথে যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ক আরও কীভাবে গভীর করা যায়, দৃঢ় করা যায়—সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের, আমরা সেগুলো তুলে ধরেছি।
“আমরা আমাদের পানি সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার, সেই কথা বলেছি… সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা প্রয়োজন—সেই কথাগুলো আমরা বলেছি। সেইসঙ্গে সিকিউরিটির যে বিষয়টা আছে, সেটা নিয়েও কথা বলেছি।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “তারা (ভারতের প্রতিনিধি) বলেছেন যে তারা এই বিষয়গুলোতে সজাগ, তারা চেষ্টা করছেন দ্রুততার সাথে সেই সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়।
“তাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান। বিশেষ করে এই পরিবর্তনের (আন্দোলনে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন) পরে নতুন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে, তাদের সঙ্গে তারা ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন… কথা বলেছেন।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের সঙ্গে… বিএনপি এজ এ পলিটিক্যাল পার্টি… আমাদের সঙ্গেও তারা তাদের দেশের (ভারতের) রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক, সেটা দৃঢ় করতে চান। এই সম্পর্কের মধ্যে কী করে আরও সুস্থতা, আরও পজেটিভিটি- কী করে নিয়ে আসা যায়, সেটা নিয়ে তারা কাজ করতে আগ্রহী।”
রাষ্ট্রক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত চীন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইরান ও পাকিস্তানের নিযুক্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক হয়েছে।
অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী থাকলেও শনিবার তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন।
