Beta
সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

ইনু মেনন সালমান আনিসুল আবার রিমান্ডে

Verdict
[publishpress_authors_box]

ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার দুই হত্যা মামলায় সাবেক তিন মন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুল হকের পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় জিসান ও মেহেদী হাসান নামে দুইজনকে হত্যার দায়ে মামলাটি দুটি করা হয়।

এর মধ্যে জিসান হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তারাসহ ১৬ জনকে ওই আন্দোলনকেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনও মঞ্জুর হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত এসব আদেশ দেয়। এদিন সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

পৃথক তিন মামলায় তদন্ত কর্মকর্তারা ইনু, মেনন ও আনিসুলসহ পাঁচজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে তাদের জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের এসব রিমান্ডের আদেশ দেয়। এর আগে বিভিন্ন মামলায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

জিসান হত্যা মামলায় বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইলে আন্দোলনে অংশ নেন জিসান। এসময় আসামিদের গুলিতে নিহত হন তিনি।

মেহেদী হত্যা মামলায় বলা হয়, গত ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলার সময় কাজলা এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন মেহেদী হাসান। এসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান মেহেদী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনকেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় সোমবার ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছে।

এর মধ্যে সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার চারটি ও মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায়, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার ছয়টি, মোহাম্মদপুর থানার দুটি, সুত্রাপুর থানার দুটি ও খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে। যাত্রাবাড়ী থানার সাতটি, মোহাম্মদপুর থানার একটি ও খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আনিসুল হককে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও সুত্রাপুর থানার একটি মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফাকে ভাষানটেক থানার একটি ও কাফরুল থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে কোতোয়ালী থানার একটি এবং উত্তরা পশ্চিম থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে।

যাত্রাবাড়ী থানার একটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, মো. জুলহাস ও সাব্বির আহমেদ স্বপনকে।

দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক আইনমন্ত্রী

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন সোমবার মঞ্জুর করেছে আদালত।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়।

গত ১৩ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

আদালত তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য ২০ জানুয়ারি সোমবার তারিখ ধার্য করেন। এদিন তার উপস্থিতিতে শুনানি হয়। পরে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে।

গত ১ জানুয়ারি আনিসুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন সংস্থার উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

মামলায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত