সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রান ২৭৭। জবাবে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস করল ২৪৬। দুই দল মিলে করেছে ৫২৩ রান, ছক্কা মেরেছে ৩৮টি। এটা ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টিতে!
বিশ্বের কোন প্রান্তেই ২০ ওভারের ফরম্যাটে হয়নি এত বেশি রান, যা কাল (বুধবার) হল আইপিএলে। গত বছর সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা–ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ৫১৭ রান ছিল এতদিন টি-টোয়েন্টির সেরা।
এত বেশি ছক্কাও হয়নি কোন ম্যাচে। এর আগে সর্বোচ্চ ৩৭ ছক্কার রেকর্ড ছিল ২০১৮ আফগান প্রিমিয়ার লিগের বাল্ক–কাবুল ম্যাচে।
৩১ রানে জয়ের পর হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের মনে হচ্ছে, ম্যাচটা ছিল পাগলামি, ‘‘এটা এক কথায় পাগলামি। মনে হচ্ছিল যে যখন যেভাবে খুশি বাউন্ডারি মারতে পারে। শেষ পর্যন্ত জয়ী দল হতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে চেয়েছি। তাই বলে এটা ঠিক, ২৭০ রানের জন্য খেলিনি। অসাধারণ খেলেছে অভিষেক শর্মা।’’
২৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ৭ ছক্কায় ৬৩ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অভিষেক শর্মা। বাঁহাতি এই ব্যাটার ফিফটি করেন ১৬ বলে, যা আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম। এছাড়া হায়দরাবাদের হয়ে ট্রাভিস হেড ২৪ বলে ৬২, হেনরিখ ক্লাসেন ৩৪ বলে ৮০ আর এইডেন মারক্রাম করেন ২৮ বলে ৪২। দুই দক্ষিণ আফ্রিকান মারক্রাম ও ক্লাসেন চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেন ৫৪ বলে ১১৬ রান।
তাতেই হয় আইপিএলের এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ২৭৭ রানের রেকর্ড। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৫ উইকেটে ২৬৩ ছিল আগের রেকর্ড। সেই ম্যাচ ক্রিস গেইল খেলেছিলেন ৬৬ বলে ১৭৫ রানের ইনিংস। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে কেওয়েন মাফাখা ৪ ওভারে দেন ৬৬!
এজন্য মাঠকর্মীদের কৃতিত্ব দিয়েছেন ক্লাসেন, ‘‘অবিশ্বাস্য উইকেট। বিশ্বের সেরা মাঠকর্মী আছে আমাদের।’’
জবাবে তিলক ভার্মার ৩৪ বলে ৬৪, টিম ডেভিডের ২২ বলে ৪২*, নামান ধিরের ১৪ বলে ৩০-এ ২৪৬ পর্যন্ত পৌঁছে মুম্বাইয়ের ইনিংস। ১০ ওভারেই ১৪১ রান তুলে জয়ের আশাও জাগিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তখন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার ২০ বলে ২৪ রানের ইনিংসটি ছিল বড্ড বেমানান।