Beta
রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫

১৫ বছর পর প্রকাশ্যে সম্মেলনে ছাত্রশিবির

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্যরা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্যরা।
[publishpress_authors_box]

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে সদস্য সম্মেলন করছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে সংগঠনটির পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।

সম্মেলনে সারাদেশ থেকে ছাত্রশিবিরের সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন। আমন্ত্রিত হয়ে বক্তব্য রাখছেন জামায়াতের শীর্ষ নেতারা।

ছাত্রশিবিরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রতিবছরের ন্যায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন। সদস্য সম্মেলনের অন্যতম কর্মসূচি কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন। সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১ বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন হয়ে থাকে।”

ছাত্রশিবিরে বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সাহিত্যের সাবেক শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম। সেক্রেটারি জেনারেলের পদে রয়েছেন ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম।

এবারের সদস্য সম্মেলনের স্লোগান ছাত্রশিবির ঠিক করেছে- “সংগ্রাম আর সাহসী জীবন/সততায় ভরা মন/জ্ঞানের আলোয় বিপ্লব হবে/নতুন উজ্জীবন।”

প্রতি বছর সদস্য সম্মেলন হলেও আওয়ামী লীগের শাসনকালে যে তা প্রকাশ্যে হয়নি, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের পর সকল সদস্যের সরাসরি উপস্থিতিতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে এ বছরের সম্মেলন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর চাপে ছিল জামায়াত ও শিবির। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে দলটির শীর্ষ নেতারা দণ্ডিত হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঠিক আগে জামায়াত ও শিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধও করেছিল। অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি করে আসা ছাত্রশিবির দীর্ঘদিন পর এখন চাপমুক্ত হয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলনের দিন বিকালে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে যাচ্ছে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক ছাত্রশিবিরে যুক্ত বলে ৫ আগস্টের পর প্রকাশ পায়।

ইসলামী ছাত্রশিবির নামে সংগঠনটি বাংলাদেশে ১৯৭৭ সালে যাত্রা শুরু করলেও পাকিস্তান আমলে এই সংগঠনটি ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে কাজ করত।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতারে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পক্ষে কাজ করেছিল জামায়াত ও ছাত্র সংঘ।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে যে আল বদর বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, তা ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা-কর্মীদের নিয়েই গঠিত হয়েছিল। তখন ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আট বছর আগে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয়।

স্বাধীনতার পর জামায়াত এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ছিল। পঁচাত্তরে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ১৯৭৭ সালে যে মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে ইসলামী ছাত্রশিবিরের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তিনিও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝোলেন।

ছাত্রশিবির ও জামায়াতের নেতারা অবশ্য দাবি করে আসছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারে তাদের নেতাদের শাস্তি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত