যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটন সফররত জয়শঙ্কর বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
তিনি একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গেও বৈঠক করেন বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও উঠেছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে।
বাংলাদেশে গত আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে কথা হয়েছে কি না- সেই প্রশ্নে জয়শঙ্কর বলেছেন, “হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। তবে এবিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানানোর সময় এখন নয়।”
রুবিওর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশের অংশীদারত্ব জোরদারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এর মধ্যে আঞ্চলিক বিষয়গুলোও ছিল।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল উন্মুক্ত রাখার ওপর জোর দেন রুবিও। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চায়।
রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ওয়াশিংটনে কোয়াডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও যোগ দেন। এই জোটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত।
বাংলাদেশে গত আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যে হিন্দুদের ওপর হামলা তার আরও নাজুক করে তুলেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কথা বলেছিলেন; যদিও তা তার দেশে ভারতীয়দের ভোট টানার উদ্দেশ্যে বলে মনে করা হয়।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা থাকে বলে মনে করা হয়। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি সম্প্রতি বলেন, একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশের জন্য ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।