Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্থায় দুজনকে জামায়াত থেকে বহিষ্কার

hye-harrasement-choddagram-231224
[publishpress_authors_box]

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে হেনস্থার নিন্দা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ওই ঘটনায় জড়িত থাকায় দুজনকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- চৌদ্দগ্রামের কুলিয়ারা এলাকার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মু আবুল হাশেম এবং মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে দুবাইফেরত মু ওহিদুর রহমান।

দুজনই জামায়াতের সমর্থক ছিলেন জানিয়ে সোমবার স্থানীয় জামায়াতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “জামায়াতে ইসলামীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাব-মর্যাদার ক্ষুণ্ন করায় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।”

রবিবারের ওই ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোচনা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর বার্তা আসার পর জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার আমির মু শাহজাহান, সেক্রেটারি সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার আমির মু মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু বেলাল হোসাইনের এই যুক্ত বিবৃতি আসে।

গত রবিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আব্দুল হাইকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়। হুমকির মুখে তিনি ফেনীতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

হাই কানু (৭৮) সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কৃষক সংগঠন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি।

কৃষক লীগের নেতা হলেও সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন এলাকায় ফিরতে পারেননি তিনি। সরকার পরিবর্তনের পর মুজিবুল হক পালিয়ে যাওয়ায় তিনি এলাকায় ফিরে হেনস্তার শিকার হন।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের এলাকায় হাইকে লাঞ্ছিত করার পেছনে এই দলটির স্থানীয় কর্মীরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ ওঠার পর দলটির পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

বিবৃতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছনার ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে তার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, “মুক্তিযোদ্ধারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশের সাধারণ কোনও নাগরিককেও হেনস্তা করা সমর্থন করে না।

“আমরা ঘটনার সাথে জড়িত ঢাকায় অবস্থানকারী আবুল হাশেম ও দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি এবং কোনও অবস্থাতেই দেশবাসীকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

হাইকে হেনস্থায় জড়িতরা জামায়াতে ইসলামীর কোনও পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয় বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে।

মুক্তিযোদ্ধা হাইয়ের বিরুদ্ধে নয়টি মামলা থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে জামায়াত নেতারা বলেছেন, “আমরা মনে করি, এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। জামায়াতে ইসলামীর কোনও পর্যায়ের নেতা বা কর্মী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং প্রশ্রয় দেয় না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত