বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে দুই যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৩ জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে আবেদন দুটি করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই বিষয়ে কোনও মামলা বা জিডি আছে কি না- যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে সে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ইমন ও রাকিব। ইমনকে হত্যার অভিযোগ এনে করা মামলার আবেদন করেছেন তার মা জোসনা। রাকিব হত্যার অভিযোগে করা মামলার আবেদন করেছেন তার মা কহিনূর বেগম।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠে মাসের মাঝামাঝিতে।
জুলাইয়ের শেষ দিকে এ আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়ার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মামলা হচ্ছে।
ইমন হত্যা মামলার আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাসহ ১০৭ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই দুপুরে রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের নিচে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। ইমনের মাথায় গুলি লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাকিব হত্যা মামলার আবেদনে শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করেছেন তার মা কহিনূর বেগম।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল, মশিউর রহমান সজল, হারুনর রশীদ মুন্না, আবু আহমেদ মন্নাফী ও কামরুল হাসান রিপন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী টোলপ্লাজার সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কর্মীরা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রাকিব মারা যান।