দেশে তো বটেই, বড় পর্দায় বাংলা সিনেমা নেই পশ্চিমবঙ্গেও। দু’দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ছবি মুক্তির পরিকল্পনা করতে ভাবছেন নির্মাতা ও প্রযোজকরা। দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনীত বেশ কিছু চলচ্চিত্রও তাই দু’দেশেই মুক্তির জন্য অপেক্ষায়। তবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে জয়ার সিনেমাগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে, বয়ে আনছে প্রশংসা ও সম্মান।
গেল কয়েকটা বছর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় প্রায় নিয়মিতেই স্থান পাচ্ছে জয়া অভিনীত চলচ্চিত্র। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কাল পেরিয়ে দীর্ঘদিন পর প্রাণ খুলে কথা বললেন সকাল সন্ধ্যার সঙ্গে।
ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় (ইফি) ‘ভূতপরী’ নির্বাচিত হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।
জয়া: খুব ভালো লাগছে, লাস্ট কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত ইফিতে আমার সিনেমা যাচ্ছে। গত বছর (২০২৩) একসাথে চারটা ছবি প্রদর্শিত হয়েছিল তার আগের বছর (২০২২) গেল ‘নকশী কাঁথার জমিন’। এবার তিনটা বাংলা ছবির মধ্যে আমার একটা ছবি নির্বাচিত হয়েছে, সে তো ভালো লাগারই কথা।
‘ভূতপরী’, ‘কালান্তর’, ‘ওসিডি’ নির্মাতা সৌকর্য ঘোষালের পরিচালনায় বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন। নির্মাতা হিসেবে তার সম্পর্কে যদি কিছু বলেন..
জয়া: সৌকর্য দারুণ একজন নির্মাতা। তার কাজের ধরণটাই আলাদা। ‘ভূতপরী’ তো লাস্ট ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেল, দারুণ অডিয়েন্স ছিল। ‘কালান্তর’ কিংবা ‘ওসিডি’ও দারুণ কাজ। আশা করি এগুলো মুক্তি পেলেও দর্শক কাজগুলো উপভোগ করবেন। তখন নির্মাতা হিসেবে সৌকর্যকে আরও বেশি চিনতে পারবেন।
কলকাতায় অনেকগুলো কাজ মুক্তির অপেক্ষায় আছে। অপেক্ষার তালিকায় থাকা এই কাজগুলোর কোনটিকে বেশি এগিয়ে রাখছেন?
জয়া: কলকাতায় তো রাজনৈতিক অস্থিরতা যাচ্ছে। ওখানে কোন সিনেমা আপাতত মুক্তি পাচ্ছে না। তবে সবগুলোর জন্যই অপেক্ষা আছে। সবগুলোই ভালো কাজ। অনেক ভার্সেটাইল ক্যারেক্টারে কাজ করা হয়েছে।
দেশের পর্দায় অনেকদিন নেই। দর্শকের অপেক্ষা টের পাচ্ছেন?
জয়া: দর্শকের অপেক্ষা হয়তো আছে। কিন্তু দেশের পর্দায়ও তো কোন সিনেমা নেই। রাজনীতিই এখন দেশের সবচেয়ে বড় বিনোদন। মানুষ অন্য কিছুর চেয়ে রাজনীতিতেই এখন সবচেয়ে বেশি মজা পাচ্ছে। তাই বিনোদন মানেই এখন রাজনীতি।
আশফাক নিপুনের ‘জিম্মি’, পিপলু আর খানের ‘জয়া আর শারমিন’, মুর্তজা আতশ জমজমের ‘ফেরেস্তে’ কিংবা আকরাম খানের ‘নকশী কাঁথার জমিন’, এসব সিনেমা মুক্তির কোনও পরিকল্পনার কথা জানতে পারছেন কি?
জয়া: এসব সিনেমার জন্য অপেক্ষা আছে। ‘ফেরেস্তে’ ছবিটা তেহরানে প্রদর্শিত হলো আর ‘নকশী কাঁথার জমিন’ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে যাচ্ছে। তবে, দেশে কে কবে কখন ছবিগুলো মুক্তির পরিকল্পনা করছে তা জানি না। তবে মুক্তি পাক শিগগিরই এমন কামনাই করছি।
দেশের চলচ্চিত্রে এখন নানামুখী সংস্কার চলছে। এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
জয়া: নো কমেন্টস।
কী নিয়ে সময় কাটছে এখন তাহলে?
জয়া: আমার যখন কাজ থাকে তখনও আমার ঘুম ভেঙে প্রথম কাজ ছাদ বাগানে সময় দেয়া, গাছের যত্ন নেয়া। কাজ না থাকলেও তাই। আর আমার কোন অবসর নেই। নানা কাজ তো থাকে, শুটিংয়ে যাচ্ছি। সময়ই পাই না। সময় আমার পিছে ছুটছে, আমি দৌড়াচ্ছি, অবসর নেই…।