Beta
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিজয় দিবসে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জয়শঙ্করের শুভেচ্ছা

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য ঘিরে যখন উত্তাপ ছড়াচ্ছে, তখন ভিন্ন বার্তা এল দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরর কাছ থেকে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

জয়শঙ্কর তার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

এই লেখার সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি জুড়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। পাশাপাশি পেট্রাপোল বন্দরে গত অক্টোবরে উদ্বোধন হওয়া প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেইটের দুটি ছবিও দিয়েছেন।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে এস জয়শঙ্করের পোস্ট।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে এস জয়শঙ্করের পোস্ট।

সোমবার রাতে জয়শঙ্করের এই পোস্ট দেওয়ার আগে সকালে নরেন্দ্র মোদীর একটি পোস্ট নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

১৬ ডিসেম্বর সকালে মোদী তার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লেখেন- “আজ বিজয় দিবসে আমরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে সাহসী সৈন্যদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ উৎসর্গ এবং অটল সংকল্প রক্ষা করেছে আমাদের দেশকে এবং এনে দিয়েছে গৌরব। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে আছে, থাকবে এবং অনুপ্রাণিত করে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে।”

বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গন থেকে।

১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের বিজয় হিসাবে দেখিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হিসাবে দেখার কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও মোদীর এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। প্রতিক্রিয়া আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতাদের কাছ থেকেও।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে হারিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। দিনটি বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়।

এই যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা দিয়েছিল ভারতের সামরিক বাহিনী। বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনীর কাছেই ১৯৭১ সালে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। চিরশত্রু পাকিস্তানকে হারানোর সেই দিনটি ভারতের সামরিক বাহিনীও ঘটা করে পালন করে থাকে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ১ হাজার ৬৬১ জন সৈনিক নিহত হয়েছিলেন। যাদের বাংলাদেশ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়া দিল্লি সফরে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে নিহত ভারতীয় সেনাদের সম্মাননা জানান। সেই অনুষ্ঠানে মোদীও ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। এই টানাপড়েন ক্রমে বাড়ার মধ্যে বিজয় দিবসে মোদীর পোস্ট নতুন করে বিতর্ক তৈরি করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত