হারটাই নিয়তি বলেই ধরে নিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। কোচ ভ্যালেরিউ তিতের চোখে মুখে শঙ্কা। প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে এমনিতেই ধুঁকছে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। এর ওপর ৫ মাচে তৃতীয় হার চোখ রাঙাচ্ছিল বসুন্ধরা কিংসকে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় জেগে ওঠা ব্রাদার্স ইউনিয়ন ম্যাচের ৯০ মিনিটে ১-০ তে এগিয়ে। যোগ হওয়া সময়ের ৮ মিনিটে বসুন্ধরা কিংস শেষবারের মতো চেষ্টা করেছে অন্তত এক পয়েন্ট পেতে। এবং ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার খানিক আগে মজিবুর রহমান জনি ত্রাতা হয়ে আসেন। তার দেওয়া গোলেই শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করতে পারে বসুন্ধরা কিংস।
এই ড্রয়েও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড়ে যে নিজেদের খুব বেশি সুরক্ষিত করতে পেরেছে বসুন্ধরা কিংস সেটা বলা যাবে না। এই মুহূর্তে ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে মোহামেডান। এই ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে যেত ব্রাদার্স।
কিন্তু ড্রয়ে ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট বসুন্ধরা কিংসের। তারা রইল পাঁচেই। আর চারে থাকা ব্রাদার্সের পয়েন্ট ৮ পয়েন্ট।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে সেনের দেওয়া গোলে এগিয়ে যায় ব্রাদার্স। কিন্তু সেই গোল আগলে রেখে আরও আক্রমণে উঠতে পারেনি। বরং আক্রমণ সামলাতেই দিশেহারা ব্রাদার্সের ফুটবলারদের। এই ম্যাচে সবচেয়ে বড় নায়ক বলা যায় ব্রাদার্সের গোলরক্ষক আশরাফুল রানা। জাতীয় দলের এক সময়ের গোলরক্ষক পুরোটা সময় কখনো রাকিব হোসেনের, কখনও মিগেল দামাসেনোর বা সোহেল রানার দুর্দান্ত শটগুলো সেভ করেছেন।
দুর্ভাগ্যই বলতে হবে বসুন্ধরা কিংসের। অনেকগুলো গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন আশরাফুল রানা। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার দুই দলের ফুটবলাররা মাঠে চোট পেয়ে সময় ক্ষেপন করলে রেফারি ৮ মিনিট যোগ করেন ঘড়িতে।
শেষ দিকে এসে আর নিজেদের সামলে রাখতে পারেনি ব্রাদার্স। একের পরে এক আক্রমণ করেছে বসুন্ধরা কিংস। তেমনই একট শট নেন বক্সের বাইরে থেকে মিগেল। আর মতিন মিয়াকে ফাকি দিয়ে মজিবুর রহমান জনি আলতো টোকায় বল ঢুকিয়ে দেন জালে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় তখন দর্শকদের তুমুল আনন্দ। কোচ ভ্যালেরিউ তিতেও যেন স্বস্বির নিঃশ্বাস ফেলে মাঠ ছাড়েন। যদিও শেষ দিকে এসে ব্রাদার্স ইউনিয়নের এক স্টাফ রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন।