ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামালকে দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছেন পুলিশ।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস। শেখ জামালের পক্ষে জামিন আবেদনও করেন তার আইনজীবী।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমান দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শেখ জামাল বলেন, “আমি ঘটনার কিছুই জানি না। আমি নির্দোষ স্যার।”
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর দিনগত রাত ২টার দিকে ঢাকার মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
পরদিন ২৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তবে সেদিন কোনও আদেশ না দিয়ে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায় এবং রিমান্ড শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পণ্ড করতে একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতা কর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম এ ঘটনায় মারা যায়। ওই ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এই মামলায় সাংবাদিক শেখ জামালকে আসামি করা হয়েছে।