আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে করা এক মামলার আসামিকে জামিন না দেওয়ায় আইনজীবীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলম এজলাসে ওঠেননি।
রবিবার সকালে আদালতে গিয়ে দেখা যায়, এজলাসে বিচারক নেই। আইনজীবীরা আসামির হাজিরা কিংবা সময়ের আবেদন জমা দিয়ে চলে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার ২০২১ সালে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে করা এক মামলার আসামি মো. ফজর আলীর জামিনের আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান দীপু ও অ্যাডভোকেট বাবু।
সেই আবেদন সেদিন নামঞ্জুর করে আদালত।
এ বিষয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মিরাজ উদ্দিন শিকদার বলেন, “গত বৃহস্পতিবার ফজর আলীর জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারক মো. নূরে আলমের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বিচারক এজলাস থেকে নেমে যান।
“রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১৫/২০ জন আইনজীবী বিচারক প্রত্যাহারের দাবিতে কোর্ট অঙ্গনে মিছিল করে আদালতে অবস্থান নেন। এরপর বিচারক আর এজলাসে ওঠেননি।”
আসামি পক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান দীপু বলেন, “ওই মামলার প্রধান আসামি পলাতক। যার জামিন চেয়েছিলাম, তিনি এ মামলার ২ নম্বর আসামি। গত বৃহস্পতিবার মামলার বাদী সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তার বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ আনেননি।
“এ অবস্থায় বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করতে পারতেন। কিন্তু তিনি জামিন না দিলে এজলাসে থাকা সাধারণ আইনজীবীরা প্রতিবাদ করেন।”
ট্রাইব্যুনালের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মামলার পর আদালত থেকে জামিন পান ফজর আলী। এরপর ১ বছর পলাতক ছিলেন তিনি। গত ২৭ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তার জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করলে তিনি এজলাস ত্যাগ করেন।
বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের অভিযোগ, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম নিয়মিত আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।
এজন্য তার অপসারণ চান তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।