যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে পাজোরো জিপে বুধবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে পৌঁছান। কাজ শেষে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসায় ফেরেন তিনি।
৭৯ বয়সী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। এসময় তার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এবং চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন ছিলেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক জাহিদ হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেতে হতে পারে। সেজন্য বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে উনি আজকে আমেরিকান অ্যাম্বেসিতে গিয়েছিলেন।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে এভারকেয়ার হাসপাতালে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মাল্টি ডিসিপ্লানারি সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে।
এজন্য খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডন ও পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি বিএনপির দীর্ঘদিনের। এজন্য সাবেক সরকারের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার, দলের নেতারাও বারবার বলেছেন চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়ার কথা।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আইনের মারপ্যাঁচ দেখিয়ে কখনোই সেই অনুমতি দেয়নি।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের পতন ঘটতেই ৬ আগস্ট নির্বাহী আদেশে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। ফলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তার যে বাধা ছিল, তা উঠে যায়।