বয়স মাত্র ২৫ বছর। তবু মোহাম্মদ নাঈম প্রসঙ্গ উঠলে মনে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হারিয়ে যেতে বসা এক প্রতিভা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি এই ওপেনারের। এবারের বিপিএলে নিজেকে নতুনভাবে প্রমাণ করেছেন নাঈম।
আজ (বৃহস্পতিবার) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের বাঁচা মরার ম্যাচে খেললেন ক্যারিয়ারের সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস। ৫৫ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬২ বলে ৭ বাউন্ডারি ৮ ছক্কায় ১১১ রানের ইনিংসে। টি-টোয়েন্টিতে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আগের সেরা ছিল ১০৫ রান।
১১ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ৩ ফিফটিসহ ১৪৮.৯৯ স্ট্রাইক রেটে তার রান সর্বোচ্চ ৪৪৪। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২৭ রান তানজিদ হাসান তামিমের। নাঈমকে হয়তো চাইলেও উপেক্ষা করতে পারবেন না নির্বাচকরা।
নাঈমের সেঞ্চুরিতে খুলনা পায় ৪ উইকেটে ২২০ রানের পুঁজি। জবাবে রংপুর রাইডার্স থামে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে। খুলনা পায় ৪৬ রানের জয়। । প্রথম ৮ ম্যাচ টানা জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছিল রংপুর। এরপর টানা তিন ম্যাচ হেরে ছন্দ হারায় তারা। ছন্দটা ফিরল না আজও। টানা চার ম্যাচ হারল তারা।
১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা এখন ৫ নম্বরে। শেষ ম্যাচে ঢাকাকে হারালে প্লে-অফ সম্ভাবনা থাকবে তাদের। রংপুরের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ১৬। তারা আছে দুইয়ে। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ জিতলে রংপুরকে পেছনে ফেলে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করবে চিটাগং কিংস।
বড় রান তাড়ায় চাপে পড়েছিল রংপুর। ১৩তম ওভারে ১০৮ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। তৌফিক খান ৫, সাইফ হাসান ৬, ইফতিখার আহমেদ ১৯, মেহেদি হাসান ২৭ আর অধিনায়ক নুরুল হাসান ফেরেন ০ রানে। তবে ওপেনার সৌম্য সরকার দাঁড়িয়ে ছিলেন একটা প্রান্ত আগলে।
চোটের কারণে এবারের বিপিএলে শুরুতে ছিলেন না সৌম্য। খেলেছেন রংপুরের শেষ দুটি ম্যাচ। রাজশাহীর সঙ্গে ৮ আর চিটাগংয়ের বিপক্ষে করেছিলেন ২৩। আজ দলের বিপদের সময় খেললেন ৪৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ৫ ছক্কায় ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। তবে জেতাতে পারেননি দলকে।
এর আগে খুলনার হয়ে নাঈম ছাড়া আলো ছড়িয়েছেন উইলিয়াম বসিস্তো। ২১ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ১৫ বলে ২৯। আকিফ জাভেদ, ইফতিখার আহমেদ ও মেহেদি হাসান নেন ১টি করে উইকেট।
রান উৎসবের ম্যাচে খুলনার হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন মুশফিক হাসান। ১৭তম ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে রংপুরের ঝড় থামান তিনি। মুশফিকের বলে ১৮ রান করা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। এছাড়া মোহাম্মদ নাওয়াজের উইকেট ২টি।
