ম্যাচের ৬৯ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে বসুন্ধরা কিংস। যেখানে প্রতিপক্ষের নাম ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল। এবং সেটাও ১০ জনের। সমর্থকদের মনে শঙ্কা, তবে কি আরেকটি পঁচা শামুকে পা কাটতে যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের?
শেষ পর্যন্ত বাকি ২০ মিনিটে দুর্বার হয়ে উঠলেন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা। সত্যি বলতে ফিটনেসে কুলিয়ে উঠতে পারল না ফকিরেরপুল। সেই সুবাদে তাদের রক্ষণ হয়ে গেল ভেঙে পড়া তাসের ঘর। প্রতি ৫ মিনিটে একটি করে গোল হজম করল ফকিরেরপুল। শুক্রবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস ৪-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল। ১টি করে গোল করেছেন জোনাথান ফার্নান্দেজ, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রফিকুল ইসলাম ও রাকিব হোসেন।
এই জয়ে সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে আছে বসুন্ধরা কিংস। শীর্ষে থাকা মোহামেডানের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে দলটি।
ম্যাচের ২ মিনিটেই গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণের হাস্যকর ভুল। জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসা শ্রাবণের কারণে আত্মঘাতী গোল খেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। যে গোলটি করেন ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা। এই ডিফেন্ডারের দেওয়া ব্যাকপাসটি ধরতেই পারেননি শ্রাবণ!
এরপর ৩৩ মিনিটে রাব্বি হোসেন রাহুলকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফকিরেরপুলের ডিফেন্ডার তিয়াস দাস। এভাবে লাল কার্ড পাওয়া মানতে পারেননি তিয়াস। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রেফারিকে ঘিরে তর্ক শুরু করেন ফকিরেরপুলের ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত রাকিব হোসেন এসে তিয়াসকে বুঝিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। অবশ্য ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায় রাহুলের সঙ্গে তেমন সংঘর্ষ হয়নি তিয়াসের।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ফকিরেরপুলের রক্ষণে বারবার আক্রমণ করেছে বসুন্ধরা কিংস। রাকিব হোসেনের শট ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক বাপ্পি, রাহুলের শট যায় বাইরে। ৪২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফার্নান্দেজের শটও গ্লাভসে জমান বাপ্পি হোসেন।
দ্বিতীয়ার্ধে বসুন্ধরা কিংস ফেরে আসল চেহারায়। অবশেষে গোলও পেয়ে যায় ৬৯মিনিটে। মজিবর রহমান জনির রক্ষণচেরা পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন ফার্নান্দেজ। ঠাণ্ডা মাথায় নিচু শটে জাল খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান।
পরের তিন মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় ফকিরেরপুল। ৭৭ মিনিটে সোহেল রানার পাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি ফার্নান্দেজ। বল চলে যায় পাশে থাকা ফাহিমের কাছে। কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড (২-১)।
৭৫ মিনিটে সোহেলের পাসে ফার্নান্দেজ ফ্লিক করেন রফিকুলকে। ডান পায়ের দারুণ ফিনিশিংয়ে তিনি করেন ৩-১। ৮৩মিনিটে দূরের পোস্ট দিয়ে রাকিব করেন চতুর্থ গোল।