Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কোটা : বিক্ষোভ মিছিল থেকে শাহবাগ অবরোধ

মিক্ষোভ মিছিল থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন কোটা সংষ্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
মিক্ষোভ মিছিল থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন কোটা সংষ্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার বিকালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে যায়।

বিকাল সোয়া ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় ঘিরে ফেলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধ করে রাখেন তারা। অবরোধের ফলে প্রায় এক ঘণ্টা শাহবাগ মোড় দিয়ে কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এতে চারপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

এসময় শাহবাগ মোড়ে বসে আন্দোলনের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তারা। মাইকে নিজেদের বক্তব্যও তুলে ধরেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, দ্রুতসময়ের মধ্যে সব গ্রেডের সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে।

অবরোধ তুলে নেওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।

সে অনুযায়ী, আন্দোলনকারীরা শনিবার সারাদেশে আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করবেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে প্রেস ব্রিফিং করে পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানাবেন।

বাকের বলেন, “সারাদেশে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ এক সাংবাদিককে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমরা এই হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।”

তিনি জানান, শনিবার সারাদেশের আন্দোলন সমন্বয়কদের সঙ্গে অনলাইন-অফলাইনে বৈঠক হবে। পাশাপাশি গণসংযোগ চলমান থাকবে। সবশেষে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সার্বিক বিষয় জানাতে একটি সংবোদ সম্মেলন করা হবে।

অন্যদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে মিছিল শুরুর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে ব্যানার হাতে দাঁড়ান ঢাকায় বসবাসরত জুম্ম শিক্ষার্থীরা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীরর জন্য ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে তারা এই অবস্থান নেন।

তাদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘কোটা বা মেধা, সততা না থাকলে সবই বৃথা’, ‘আমরা কোটাধারি, আমরা মেধাবীও’, ‘প্রিলি লিখিত ভাইবার পর কোটার হিসাব হয়’, ‘পার্বত্য কোটা বাতিল করে পাহাড়ি কোটা চালু করো’, ইত্যাদি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত