ব্যাটিংয়ের ধরন সনাথ জয়াসুরিয়ার মতো। আগ্রাসী মনোভাবও শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তিকে মনে করিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ধারাবাহিক হতে পারেননি কুশল পেরেরা। সেকারণে জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যেই আছেন। এবার সম্ভবত টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাকাপোক্ত করে নিলেন এই ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার দ্রুততম টি-টোয়েন্টির মালিক এখন কুশল পেরেরা। তার এই সেঞ্চুরি দীর্ঘ ১৯ বছর পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে জয় এনে দিয়েছে লঙ্কানদের।
নেলসনের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরার রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রান করে সফরকারীরা। কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২১১ রানে থামে কিউইরা। প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছিল স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন কুশল পেরেরা। প্রথম শতকেই শ্রীলঙ্কার দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক বনে গেছেন তিনি। নেলসনের ম্যাচে ৪৪ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। তার আগে ২০১১ সালে পাল্লেকেলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৫ বলে তিলকরত্নে দিলশানের সেঞ্চুরি ছিল দ্রুততম।
শেষ পর্যন্ত কুশল পেরেরা খেলেছেন ১০১ রানের ইনিংস। ৪৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৩ চার ও ৪ ছক্কায়। তার সঙ্গে অবদান রেখেছেন চারিথ আসালঙ্কা। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ২৪ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৪৬ রান।
নিউজিল্যান্ডের পাঁচ বোলার- ম্যাট হেনরি, জ্যাকব ডাফি, জাকারি ফুলকেস, মিচেল স্যান্টনার ও ড্যারিল মিচেল প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।
২১৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লড়াই করে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। ওপেনিংয়ে রাচিন রবীন্দ্র ৩৯ বলে খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। মেরেছেন ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা। মিচেল ছিলেন আরও ভয়ঙ্কর। ১৭ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় খেলে যান ৩৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকে অধিনায়ক স্যান্টনার ১০ বলে অপরাজিত ১৪ ও ফুলকেস ১৩ বলে অপরাজিত ২১ রান করলেও হার এড়াতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার আসালঙ্কা। লঙ্কান অধিনায়ক ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন কুশল পেরেরা। আর সিরিজসেরা হয়েছেন জ্যাকব ডাফি।