ফিফা বর্ষসেরার ফেভারিট ধরা হচ্ছিল আর্লিং হলান্ডকে। পুরস্কারের দৌড়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। তবে এই দুজনকে পেছনে ফেলে ২০২৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের পুরস্কারটি জিতে নিয়েছেন লিওনেল মেসি।
লন্ডনে সোমবার রাতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। যদিও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। তিনি বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে। ইন্টার মিয়ামির জার্সিতে খেলা মেসি অনুশীলনে ব্যস্ত প্রাক মৌসুম প্রস্তুতির জন্য।
গত বছরও ফিফা বর্ষসেরা হয়েছিলেন মেসি। টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে অষ্টম বারের মতো পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল ১২ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়েছিল। এদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা ডিসেম্বরে দেওয়া হয় ফিফার ওয়েবসাইটে। যেখানে ভোট দিয়েছিলেন জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল, সাংবাদিক ও সমর্থকেরা।
এবার হালান্ড পুরস্কার জেতার বিবেচনায় সব দিক দিয়েই ছিলেন এগিয়ে। ম্যানচেস্টার সিটির এই গোল মেশিন নতুন নতুন সব রেকর্ড গড়েছেন। প্রথমবারের মতো ম্যান সিটিকে ট্রেবল জেতানোয় বড় ভূমিকা রাখেন হালান্ড। প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপের পর চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতে হালান্ডের ম্যান সিটি।
পুরস্কারটি জিততে কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে মেসিকে। ভোটে অবশ্য মেসি ও হালান্ড পেয়েছেন সমান ৪৮ পয়েন্ট। কিন্তু জাতীয় দলের অধিনায়কদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার প্রথমে থেকে এগিয়ে গেছেন মেসি। ৩৮ পয়েন্ট পেয়ে এমবাপ্পে হয়েছেন তৃতীয়।
গত বছরের পুরস্কার জেতায় মেসির জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখে বিশ্বকাপ। তবে এবারের পুরস্কারের জন্য সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। সেরার পুরস্কার নির্বাচনে এবার সময় ধরা হয় ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে মেসি পিএসজির লিগ আঁ শিরোপা জেতায় অবদান রাখেন। প্যারিসে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করেন। গত মার্চে তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ১০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
পিএসজি ছেড়ে গত জুলাইয়ে যোগ দেন ইন্টার মায়ামিতে। সেখানেও ৭ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল। দলটির হয়ে লিগস কাপ জিতে ৪৪টি ট্রফি নিয়ে ফুটবল ইতিহাসের সফলতম খেলোয়াড় হয়েছেন। এসবের স্বীকৃতিই মিলল লন্ডনের ফিফা বর্ষসেরার অনুষ্ঠানে।
