‘‘কোপা আমেরিকার পর খুব কাছাকাছি সময়ে ছয়টি ম্যাচ খেলেছি। এজন্য বাইরে থেকে কাউকে আনার সময় খুব একটা ছিল না। যারা আমাদের কাপ জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছে, তাদের দিয়েই চালিয়ে নিতে চেয়েছি। তবে এখন থেকে সবাইকে খেলতে হবে, যেন তাদের ক্লাবের খেলা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি’’-বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পেরুর মুখোমুখি হওয়ার আগে এমন কড়া বার্তাই দিয়েছিলেন লিওনেল স্কালোনি।
২০২৫ সালের মার্চ মাসে আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচে জাতীয় দলে থাকতে হলে ক্লাবে পারফর্ম করে আসার বার্তা স্পষ্টই দিয়ে রেখেছেন স্কালোনি। বিশ্বকাপ জয়ের পর খুব বেশি নতুন মুখ আনেননি তিনি। পেরুর বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ডিয়েগো সিমিওনের ছেলে জুলিয়ানো সিমিওনেকে বদলি হিসেবে নামিয়েছিলেন স্কালোনি। অলিম্পিকে আলো ছড়ানোয় স্কালোনির নজর ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দেওয়া জুলিয়ানোর ওপর। বছরের শেষ ম্যাচে অভিষেকও হলো তার।
তাতে বিশ্বকাপ জয়ের পর দুই বছরে অভিষেক হয়েছে কেবল ৮ জনের। এর ছয়জনই ২০২৪ সালে। এ বছর আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষিক্তরা হলেন নিকোলাস পাজ (বলিভিয়া), ভেলেন্তিন কাস্তেয়ানোস (চিলি), ভেলেন্তিন কারবোনি ও ওয়ালতার বেনিতেজ (কোস্টারিকা), ভেলেন্তিন বারকো (এল সালভাদোর) ও জুলিয়ানো সিমিওনে (পেরু)।
গত বছর অভিষেক হয়েছিল আলেহান্দ্রো গারনাচো (অস্ট্রেলিয়া) ও ফাকুন্দো বুওনানোত্তের (ইন্দোনেশিয়া)। গত দুই বছরে অবশ্য পুরোনো কয়েকজনকে সুযোগ দিয়েছেন স্কালোনি। তাদের অন্যতম লিওনার্দো বালেরদি ও নেহুয়েন পেরেস।
সেই ২০১৯ সালে অভিষেক হওয়া বালেরদি খেলেছেন কেবল ৫ ম্যাচ। আর পেরেসের অভিষেক হয়েছিল ২০২২ সালে। ২০২০ সালে অভিষিক্ত ফাকুন্দো মেদিনাও ছিলেন পেরুর বিপক্ষে দলে। এই নতুন আর পুরোনোদের নিয়েই ২০২৫ সালের চ্যালেঞ্জ শুরু হবে স্কালোনির।