“আমি পাওয়ার হিটার নই। সাধারণত আমি চারের ওপর নির্ভর করেই খেলি“ বলেই হাসছিলেন লিটন দাস। তবুও লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি ছক্কা। ক্যারিয়ারের বিধ্বংসী প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে বিপিএল রেকর্ড বই ওলটপালট করেছেন লিটন। এরপর নিজেকে বিগ হিটার হিসেবে মেনে না নেওয়া এই ব্যাটারের বদান্যতা।
অবশ্য লিটন এর আগে আরও একটি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বলেছেন, “এই দিনটি আমার ছিল।” লিটনের দিনে তার মতো ব্যাটিং আর কোনও বাংলাদেশি ব্যাটার করতে পারেন না। এমনকি বিশ্বের সেরা ব্যাটাররাও লিটনের দিনে শুধু তার ব্যাটিং-ই দেখে থাকবেন।
এমন দিনে লিটন মেনে নিলেন গত কিছু দিনের কথা। বেশ কিছুদিন রান পাচ্ছিলেন না। ঢাকা ক্যাপিটালসের একাদশে থেকেও তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। বিশ্রাম থেকে ফিরেই পেয়েছেন ৭৩ রানরে ঝকঝকে ইনিংস। এরপর এই ৫৫ বলে অপরাজিত ১২৫।
লিটন গত কিছুদিনের বিষয় তুলে স্মরণ করেছেন টিম বয় শাহিনের কথা, “সত্যি বলতে আমি গত কিছুদিন বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। রান পাচ্ছিলাম না, খুব চাপেও ছিলাম। এই সময় আমার স্ত্রী আমাকে মনোবল জুগিয়েছে এবং টিম বয় শাহিন আমাকে খুব সহযোগীতা করেছে (ব্যাটিং অনুশীলনে)। ওকেও আমি ধন্যবাদ জানাই।”
.এর আগে ম্যাচে আরও একটি শৈল্পিক ব্যাটিংয়ের দিন সম্পর্কে লিটন জানিয়েছেন, “গত ম্যাচেও ভালো ব্যাট করতে পেরেছি। সেটা আমাকে একটু ভালো লাগা এনে দিয়েছে। সেখান থেকে বুঝতে পেরেছিলাম আজও আমার ভালো করার সুযোগ আছে। সেভাবেই আমি নিজেকে এগিয়ে নিয়েছি এবং সফল হয়েছি।”
লিটন সফল হয়েছেন এমন একটি দিনে যেদিন সকালে তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার খবর হজম করতে হয়। আর কিছু ইনিংস আগে ৭৩ রানের পর এমন সেঞ্চুরি পেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা হতো তার। অবশ্য লিটনের হারানোর কিছু নেই। এমন ইনিংস নতুন শুরু এনে দিবে এই ব্যাটারকে।
লিটনের সঙ্গে তানজিদ হাসান তামিমের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের দিনে বিপিএলের এবারের আসরে প্রথম জয় পেয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ৬ ম্যাচ টানা হারের পর দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ১৪৯ রানে জিতেছে তারা। তাদের ১ উইকেটে ২৫৪ রানের জবাবে রাজশাহী ১০৫ রানে অলআউট হয়।