Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

রেমালের ধকল কাটিয়ে চট্টগ্রামে স্বাভাবিক এলএনজি সরবরাহ

সোমবার সকালে মহেশখালীর ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
সোমবার সকালে মহেশখালীর ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
Picture of বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালীর ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বিঘ্ন ঘটলেও এখন তা স্বাভাবিক হয়েছে।

রবিবার চট্টগ্রাম শহরের আবাসিক এলাকা এবং সিএনজি স্টেশনগুলোতে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। এদিন বন্দরনগরীর আবাসিক এলাকাগুলোতে গ্যাসের চাপ ছিল কম।

তবে সোমবার সকালে মহেশখালীর ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।

মহেশখালীর ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে রবিবার সকালে গ্যাস সরবরাহ ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট থেকে কমে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে নামে। বিকাল পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। রাতে এলএনজি সরবরাহ ৫২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়। সোমবার সকালে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

গ্যাস সরবরাহ ফের স্বাভাবিক হয়েছে জানিয়ে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) এলএনজি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় ভাসমান টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছিল। সোমবার সকাল থেকে সরবরাহ আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।

“সোমবার সকাল থেকে আমরা আগের মতোই ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছি।”

আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য মহেশখালীর সাগরে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে।

এর মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির (এমএলএনজি) দিনে সর্বোচ্চ ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহের সক্ষমতা আছে।

অন্যটি দেশি প্রতিষ্ঠান সামিট এলএনজি টার্মিনাল (এসএলএনজি), যার সক্ষমতা ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

মহেশখালী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মাটির নিচের পাইপলাইনের মাধ্যমে সাগরে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা থাকলেও বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দিনে প্রায় ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে আরপিজিসিএল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত