Beta
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

চারশোর পরদিন মিরপুরে ৬৯ রানে অলআউট শাইনপুকুর

শাইনপুকুরকে মাত্র ৬৯ রানে অলআউট করে দেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ছবি : লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ
শাইনপুকুরকে মাত্র ৬৯ রানে অলআউট করে দেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ছবি : লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ
[publishpress_authors_box]

আগের দিন মিরপুর স্টেডিয়ামে ৪২২ রান করল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। লিস্ট “এ” ক্রিকেটে যা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ। তার পরদিন সেই স্টেডিয়ামে ৬৯ রানে অলআউট হল শাইনপুকুর।

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে শাইনপুকুরের এমন অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। আগের দিন যখন মিরপুরের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হওয়ার স্বস্তি মিলেছিল, পরদিন তা উবে গেল।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দিনের অন্য দুই ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই মিরপুরের ম্যাচ পুরো শেষ হলো। সকালে শুরু ১০০ ওভারের ম্যাচের ফয়সালা হয়ে গেল ২৬.২ ওভারের মধ্যে দুপুর গড়াতেই।

শাইনপুকুরকে মাত্র ৬৯ রানে গুঁড়িয়ে কোনো উইকেট না হারিয়েই জিতে যায় জাতীয় দল ও আশপাশের একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার নিয়ে গড়া রূপগঞ্জ। সবমিলিয়ে ম্যাচে খেলা হয়েছে মোটে ২১২ বল। রান তাড়ায় ২৪৩ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে গেছে আকবর আলির দল।

প্রিমিয়ার লিগের লিস্ট ‘এ’ যুগে এর চেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের নজির আছে তিনটি। গত বছর গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে ৪০ রানে অলআউট করে ২৬২ বল বাকি রেখে জিতেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দেশের লিস্ট “এ” ক্রিকেটেরও রেকর্ড এটি।

এবারের লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১০ উইকেটে জিতেছিল রূপগঞ্জ। মাঝে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের কাছে হেরে যায় তারা।

জয়ে ফেরার ম্যাচে টস জিতে শাইনপুকুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রূপগঞ্জ। ধীরেসুস্থে শুরু করে প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট পড়তে দেননি মইনুল ইসলাম ও নিয়ন জামান। নবম ওভারে আক্রমণে এসে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদি হাসান। এরপর বাঁহাতি স্পিনে উইকেট শিকারে যোগ দেন তানভির ইসলাম।

দুজনের ঘূর্ণিতে মাত্র ১২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শাইনপুকুর। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে তাদের লেজ মুড়িয়ে দেন রেজাউর রহমান রাজা। দুই ওপেনার মইনুল ১৮ ও নিয়নের ১৪ ছাড়া শাইনপুকুরের হয়ে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু দশ নম্বরে নামা আল ফাহাদ (১০)। ৩টি করে উইকেট নেন তানভির ও রাজা। মেহেদির ঝুলিতে জমা পড়ে ২ উইকেট।

ছোট লক্ষ্যে ম্যাচ শেষ করতে বেশি সময় নেননি তানজিদ ও সাইফ হাসান। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৭ বলে ৭৫ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ বলে ৩৯ রান করেন সাইফ। তানজিদের ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ৩৫ রান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত