Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ভ্যাট বাড়ায় মাসের মাঝামাঝি বাড়ল এলপিজির দাম

গৃহস্থালির রান্নার কাজে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বেশি।
গৃহস্থালির রান্নার কাজে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বেশি।
[publishpress_authors_box]

ভ্যাট বাড়ায় মাসের মাঝামাঝিতে এসে এলপিজির দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গৃহস্থালির কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা।

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম টানা দুই মাস অপরিবর্তিত রেখেছিল বিইআরসি। জানুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ায় সংস্থাটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

ভ্যাটের হার পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি-বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় করে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি এলপিজির ভ্যাটসহ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিকেজি ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হয়। ভ্যাট পরিবর্তনের আগে প্রতিকেজির দাম ছিল ১২১ টাকা ১৯ পয়সা।

প্রতি মাসে মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় দিন এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। সে মোতাবেক গত ২ জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথম মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৪৫৫ টাকা। তার আগের দুই মাসেও (নভেম্ব ও ডিসেম্বর) একই দাম ছিল এলপিজির।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝামাঝিতে এসে গত ৯ জানুয়ারি হঠাৎ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট বা মূসক) এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে এলপিজির ভ্যাটও বাড়ানো হয়।

এর আগে ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিসংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাব পাস হয়।

জারি করা অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এলপিজির ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

ভ্যাট বাড়ানোয় গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা। সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার হয়। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত