দানি কারভাহাল, ডাভিড আলাবা, এদের মিলিতাও, আন্টোনিও রুডিগার- চোটের জন্য রক্ষণের চার স্তম্ভই ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। তারপরও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মাদ্রিদ ডার্বিতে ভুগেনি তারা। ম্যাচটা অবশ্য ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। ৩৫ মিনিটে হুলিয়ান আলভারেসের পেনাল্টিতে আতলেতিকো এগিয়ে যাওয়ার পর ৫০ মিনিটে সমতা ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে। পেনাল্টি নিয়ে অবশ্য জন্ম হয়েছে নতুন বিতর্ক।
ফল
রিয়াল ১ : ১ আতলেতিকো
অ্যাথলেতিক ৩ : ০ জিরোনা
সেল্তা ভিগো ৩ : ২ বেতিস
তারপরও লা লিগা জমে যাওয়ায় খুশি রিয়াল কোচ আনচেলোত্তি, ‘‘লা লিগার শিরোপা লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়ল, এজন্য আমি খুশি। ম্যাচের আগে চার ডিফেন্ডার হারিয়েছিলাম। তাদের ছাড়া এভাবে খেলতে পারাটা সন্তুষ্টির।’’
২৩ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল এখনও এক নম্বরে।। সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো। বার্সেলোনা এক ম্যাচ কম খেলে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। লা লিগার লড়াই এখন ত্রিমুখী।
মাদ্রিদ ডার্বিতে ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য পোস্টে ২৩টি শট নিয়েছিল রিয়াল, লক্ষ্যে ছিল ৯টি। আতলেতিকোর ১০ শটের কেবল একটিই ছিল লক্ষ্যে। তবু লা লিগায় এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ আতলেতিকোর বিপক্ষে জয়হীন রইল রিয়াল।
ম্যাচের ৩১তম মিনিটে রিয়ালের ডি-বক্সে বাঁ দিক আসা ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিতে পা বাড়ান সামুয়েল লিনো। তখন অহেলিয়া চুয়ামেনির বাড়ানো পা গিয়ে পড়ে লিনোর পায়ে। এর আগেই বল বেরিয়ে যায় দুজনের মাঝ দিয়ে।
বিতর্কের শুরু তখনই। মনিটরে দেখার ইঙ্গিত করেন রেফারি তাতে ডাগআউটে আনচেলত্তির মুখে ছিল অবিশ্বাস্যের হাসি। দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে তিনি বোঝাচ্ছিলেন এটা কীভাবে সম্ভব?
ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন, পেনাল্টি হতে পারে না এটা। তবে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি যা মিস করেননি আলভারেস। পেনাল্টি নিয়ে ম্যাচ শেষে আনচেলোত্তি বলেছেন, ‘‘আমি আর বিতর্ক তৈরি করতে চাই না, ম্যাচ নিয়েই কথা বলতে চাই। ভিএআর পেনাল্টি দিয়েছে, রেফারিও খুব কাছে ছিল। আমি জিরোনার বিপক্ষে অ্যাথলেতিকের আরেকটি পেনাল্টি দেখলাম, যা ফুটবলের মানুষরাই বোঝেনি।’’
তবে আতলেতিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনের দাবি এটা পেনাল্টিই ছিল। বরং মিডফিল্ডার পাবলো বাররিওসকে করা ফাউলের জন্য রিয়ালের দানি সেবায়োস লাল কার্ড পেতে পারতেন বলে মনে করেন তিনি, ‘‘আমার মনে হয়, রেফারি সম্ভাব্য সেরা উপায়েই পরিস্থিতি সামলেছে। কারও কারও মতে তো, সেবায়োসের সরাসরি লাল কার্ড প্রাপ্য ছিল। অন্তত ভিএআর দেখতে পারতেন রেফারি।’’
৫০তম মিনিটে সমতা ফেরান এমবাপ্পে। রোদ্রিগোর পাসে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে জুড বেলিংহামের শট রক্ষণে প্রতিহত হয়েছিল। ফিরতি বল বক্সের মাঝামাঝি পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে জড়ান এমবাপ্পে।
মাদ্রিদ ডার্বিতে দুদিন আগে ফুটবলকে বিদায় জানানো মার্সেলোকে সম্মাননা জানায় রিয়াল। তার হাতে ক্লাবের বিশেষ একটি জার্সি তুলে দেন লুকা মদ্রিচ। ম্যাচটা রিয়ালকে জিততে দেখলেই হয়তো বেশি খুশি হতেন মার্সেলো।