ঢালিউড তারকা মাহিয়া মাহি রাজনীতিতে ছিলেন বেশ সক্রিয়। আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে মাঠে নেমেছিলেন দুইবার। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন । তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। হেরেছিলেন বিশাল ব্যবধানে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গুঞ্জন উঠেছিল বিপাকে পড়তে পারেন এই তারকা। অনেকের ধারণা, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এখনও হয়তো কালো তালিকাভুক্ত হননি ‘অগ্নি’খ্যাত মাহি।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে মাহির মাথাব্যথার কারণ এখন অন্যকিছু।
এই তারকার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তার পুরনো একটি ফেইসবুক পেজ। যার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে অন্য কারও হাতে। যেটি কিনা ভেরিফায়েড পেইজ। ২০১৪ সালে মাহির এই পেজটি হ্যাকড হয়। এখান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিছু ছড়ানোও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তা নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি মাহি। আর এ কারণেই মাহি নিজের অ্যাকাউন্ট বা পেইজ ভেরিফাইডও করতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।
মাহি বলেন, “এই ভেরিফাইড পেজটা আমার কন্ট্রোলে নেই । ২০১৪ সালে কে বা কারা হ্যাক করেছিলো । যেহেতু মাহিয়া মাহি নামে এটা ভেরিফাইড তাই আমার নতুন কোন পেজও আর ব্লু ব্যাজ পাচ্ছে না।”
গত সপ্তাহে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি দেশের বাইরে যান। সে সময় এয়ারপোর্টে তাকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখা হয়েছিল। আর অপেক্ষায় রেখে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তাঁর নাম আছে কিনা খতিয়ে দেখে বলে জানা যায়। কিন্তু তেমন কিছু না থাকায় বিদেশে যাওয়ার সবুজ সংকেত পেয়ে যান এ তারকা।