প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। তাকে একাদশে না দেখে বিস্মিতই হয়েছেন পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজে ৫০ *, ৬২ ও ৮৪ *-করা কাউকে একাদশে না দেখাটা বিস্ময়েরই।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের পর ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড ড্রেসিং রুম’ অনুষ্ঠানে ওয়াসিম আকরাম বলেছেন,‘‘আমি একটা প্রশ্ন তুলে ধরতে চাই। বাংলাদেশ দলে মাহমুদউল্লাহ আছে , ওর ৩৯ বছর বয়স, ভালো খেলোয়াড়। সিনিয়র খেলোয়াড়দের যদি স্কোয়াডে নেওয়া হয়, তাহলে ম্যাচেও খেলানো উচিত। নাহলে একজন তরুণকে সুযোগ দিলেই হয়।’’
ওয়াকার ইউনিসও বলেছেন একই কথা, ‘‘তরুণরা দেখিয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেট তাদেরই খেলা। মাহমুদউল্লাহকে একাদশে রাখা না হলে বেঞ্চে রাখার মানে নেই।’’
ওয়াসিম আকরাম বা ওয়াকার ইউনিস হয়তো জানতেন না চোটের জন্য একাদশে নেওয়া হয়নি মাহমুদউল্লাহকে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে বাংলাদেশ দলের প্রথম অনুশীলন সেশনে ডান পায়ের কাফ মাসলে চোট পেয়েছিলেন তিনি। তাই খেলতে পারেননি পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে।
কাফ মাসলের স্ক্যান করানো হয়েছে মাহমুদউল্লাহর। তাতে চিড় ধরা পড়েনি, যা স্বস্তির। কাফ মাসলের গ্রেড ওয়ান ইনজুরি সারতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা লাগে। আর গ্রেড টু পর্যায়ের চোটে লাগে ৭ থেকে ১০ দিন। মাহমুদউল্লাহর চোট এই গ্রেডেরই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ ২৪ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে দৌড়ানোর মতো অবস্থায় গেলে মাহমুদউল্লাহর খেলা সম্ভব ম্যাচটিতে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে এমনটাই।
আর ফিট হওয়ার মরিয়া প্রয়াস করছেন মাহমুদউল্লাহও। এজন্য ভারতের বিপক্ষে টসের পর খেলা শুরুর আগের সময়টায় স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের সঙ্গে মাঠে কিছুক্ষণ দৌড়াতে দেখা গেছে তাকে।