তিনি ইউনিভার্স বস। কেউ বলেন ছক্কার রাজা। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজেও সবচেয়ে বেশি ছক্কা ক্রিস গেইলেরই। তার ছক্কা ২০টি। সেই রেকর্ডে আজ (মঙ্গলবার) ভাগ বসানোর তো বটেই ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে মাহমুদউল্লাহর। তার ছক্কা ১৯টি। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে গেইলের পাশে বসতে চাই এক ছক্কা আর ছাড়িয়ে যেতে দুই ছক্কা।
গেইল ছক্কার রাজা হলেও দুই দেশের মুখোমুখি ওয়ানডে বিবেচনায় তার চেয়ে এগিয়েই আছেন মাহমুদউল্লাহ। ২২ ইনিংসে গেইলের রান ৬৬১, গড় ৩৩.০৫ আর স্ট্রাইক রেট ৭০.৯২। সেখানে সমান ২২ ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর রান ৬৮৬, গড় ৬৮.৬০ আর স্ট্রাইক রেট ৮২.৮৫। আজ শুধু একটা ছক্কা হলে এই ক্ষেত্রেও গেইলের পাশে বসবেন তিনি।
প্রথম ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ৩ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৫০ রানে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০ ছক্কার মাইলফলকে পা রাখেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টে তার ছক্কা ২৪টি, ওয়ানডেতে ৯৯টি আর টি-টোয়েন্টিতে ৭৭টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮৮ ছক্কা তামিম ইকবালের। তিন নম্বরে থাকা মুশফিকুর রহিমের ছক্কা ১৭৩টি।
মেহেদী হাসান মিরাজেরও হাতছানি আছে রেকর্ড গড়ার। দুই দেশের সিরিজে সবচেয়ে বেশি সমান ১৯ ম্যাচে যৌথ সর্বোচ্চ ৩০টি করে উইকেট মাশরাফি বিন মর্তুজা ও কেমার রোচের। ১৭ ওয়ানডেতে মিরাজের উইকেট ২৭টি। ৩ উইকেট পেলে মাশরাফি ও রোচের পাশে বসবেন তিনি।
সিরিজের প্রথম ম্যাচটা হেরে গেছে বাংলাদেশ। এর আগে দেশের বাইরে প্রথম ওয়ানডে হেরে কখনও সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। দেশের বাইরে ৩৯টি ওয়ানডে সিরিজের ৯টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, ড্র ৩টিতে আর হার ২৭ সিরিজে।
জয় পাওয়া ৯ সিরিজের ৮টিতে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। শুধু গত বছর ইংল্যান্ডে হওয়া সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা জেতা হয়নি। আসলে জেতার উপায়ও ছিল না।
চেমসফোর্ডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল ম্যাচটা। এরপর বাংলাদেশ সিরিজ জিতে ২-০’তে। এবার কি প্রথম ম্যাচ হারের পর বিদেশে ওয়ানডে সিরিজ জিততে না পারার ইতিহাস বদলাতে পারবে বাংলাদেশ?