মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া সংকটের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি সৃষ্টিতে দায়ীদের ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার বিকালে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের সেদেশে প্রবেশের শেষ দিন ছিল ৩১ মে। এ ধাপে কর্মী ভিসায় এদিনের পর আর কেউ সেখানে ঢুকতে পারবে না। এদিন সারা দেশ থেকে উদ্বিগ্ন শত শত মানুষ এসে ভিড় করে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, “৫ লাখের ওপরে কর্মী নেওয়ার জন্য কোটা দিয়েছিল মালয়েশিয়া সরকার। কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। গত মাসের ১৫ তারিখে তাদের সঙ্গে সর্বশেষ সভা করে তাদের আমি বলেছি, চূড়ান্ত তালিকা করার জন্য। কিন্তু তারা তালিকা দিতে পারেনি।”
কর্মীদের পাঠাতে বিশেষ ২২টি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরও ভোগান্তি শেষ হয়নি জানিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, “এই ভোগান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য যারা দায়ী, তাদের ব্যাপারে আমরা তদন্ত কমিটি করব। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কর্মী প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানে দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “সরকার চায় বৈধপথে শ্রমিক বিদেশে যাবে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হয়রানি করা না, যারা হয়রানি করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এসময় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয় সরকার বিবেচনা করছে। কিভাবে তাদেরকে সহায়তা করা যায় এ নিয়েও মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যাদের কারণে কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কাছ থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায় করে ভুক্তভোগীদের ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করা হবে।”
ত্রাণ বিতরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্গতদের পাশে রয়েছে। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে।