ম্যানচেস্টার সিটির দুঃস্বপ্ন কাটছেই না। টানা পাঁচ ম্যাচ হারের ধাক্কা কাটানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের মাঠ ইতিহাদে ফেইনুর্ডকে নিয়ে শুরু করেছিল ছেলেখেলা।
প্রথম ৫৩ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটি এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। এরপর অবিশ্বাস্য ছন্দপতন। ৩ গোলে এগিয়ে থেকেও পথহারা ম্যানসিটি মাঠ ছাড়ে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে! ৭৫ থেকে ৮৯-এই ১৪ মিনিটের ঝড়ে ৩ গোল আদায় করে ডাচ ক্লাবটি স্তব্ধ করে দেয় ম্যানসিটি সমর্থকদের।
১৯৬৩ সালের পর এবারই প্রথম টানা ষষ্ঠ ম্যাচে দুই বা বেশি গোল হজম করল ম্যানসিটি। সে বছর ইংলিশ শীর্ষ লিগ থেকে অবনমন হয়েছিল দলটির। ৬১ বছর পর আবারও টানা ছয় ম্যাচে দুই বা বেশি গোল হজম করল মাস খানেক আগেও দারুণ ছন্দে থাকা দলটি।
হতাশ কোচ পেপ গার্দিওলা বললেন, ‘‘বুঝতে পরছি না এটা মানসিক ব্যাপার কিনা। আমরা জিততে মুখিয়ে ছিলাম, ভালোও খেলছিলাম কিন্তু জিততে পারলাম না।’’
বিরতির এক মিনিট আগে আর্লিং হলান্ডের পেনাল্টি থেকে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানসিটি, ডিবক্সে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন তিনিই। ৫০তম মিনিটে বক্স থেকে বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জার্মান মিডফিল্ডার ইলকাই গুনদোয়ান। ৫৩ মিনিটে নুনেসের পাস বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে স্কোর ৩-০ করেন হলান্ড।
তখন মনে হচ্ছিল দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলতে চলেছে ম্যানসিটি। অথচ আরও বেশি হতাশা গ্রাস করল তাদের। ৭৫তম মিনিটে এক গোল ফেরান আনিস হেজ মুসা। ৮২ মিনিটে ম্যানসিটির জালে বল পাঠান সান্তিয়াগো হিমেনেস। আর ৮৯তম মিনিটে গোল করে ইতিহাদের গ্যালারি স্তব্ধ করে দেন দাভিদ হানচকো।
লিগ কাপে টটেনহামের কাছে হার দিয়ে দুঃস্বপ্নের যাত্রা শুরু ম্যানসিটির। প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ম্যাচে বোর্নমাউথ, ব্রাইটন ও টটেনহামের বিপক্ষে হারে তারা। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে হেরেছিল স্পোর্তিং লিসবনের কাছে। সেই চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার পয়েন্ট হারাল ফেইনুর্ড-এর কাছে।
ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই ফেইনুর্ড খেলোয়াড়দের উদযাপনটা ছিল জয়ের মতোই। ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ড্র করাটা জয়ের চেয়ে কম কিসে? এজন্যই ফেইনুর্ড কোচ ব্রায়ান প্রিসকেল বললেন, ‘‘এটা অবিশ্বাস্য এক রাত!’’