মার্চ ফর খেলাফত কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের পাঁচ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত জ্যেষ্ঠ মহানগর হাকিম ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেয়।
ঢাকার পল্টন থানায় করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, মাসরাফি রহমান মাহি (২০), ইরফান শাহরিয়ার (২০), মো. সাইফুল ইসলাম (১৯), মো.আনাসুর রহমান (২০) ও মো. সোহেল রানা (৩৯)।
এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামী ১৩ মার্চ রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে শনিবার একই ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৭ হিযবুত তাহরীর কর্মীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগের শুক্রবার তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত শুক্রবার দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে অজ্ঞাতনামা ২০০০/২২০০ জন ব্যক্তি মার্চ ফর খেলাফত, হিযবুত তাহরীর, উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ ব্যানারে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যরা মিছিল বের করে। এরপর তারা পল্টন মোড়ের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। আসামিরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দুপুর ২ টা ১০ মিনিটের দিকে পল্টন মডেল থানাধীন পল্টন মোড় এল মল্লিকের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সরকার বিরোধী, দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার প্রয়াসে পতাকা, ব্যানার, লাঠিসোটা নিয়ে শ্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকে। তখন পল্টন মোড় এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ ফোর্স মিছিল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
তখন পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ জান-মাল রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অবৈধ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গ্যাসগান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তবুও নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে তাদের ব্যবহৃত পতাকা, শ্লোগান ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় উপপরিদর্শক রাসেল মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি করেন।