ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মামলায় এই আদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেয়। একই সঙ্গে লায়লা কানিজের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ঠিক করে দেওয়া হয়।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক মো. ইসমাঈল তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনা-বেচা করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই কেনা-বেচায় অন্য কারও সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা উদঘাটন করা প্রয়োজন। এছাড়া তার অর্জিত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়টিও উদঘাটন করা প্রয়োজন। এজন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা।
দুপুর ২ টার দিকে লায়লা কানিজকে এজলাসে হাজির করে পুলিশ। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। অধিকাংশ সময় তাকে বিষণ্ন দেখা যায়, কখনও আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করতে দেখা যায়। কয়েকবার চোখের পানি মুছতেও দেখা গেছে। তবে তার পক্ষে কোনও আইনজীবী শুনানি করেননি।
শুনানি শেষে সোয়া ৪ টার দিকে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
গত ১৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে মতিউর রহমান ও লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। পাশাপাশি ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগও রয়েছে। এসব সম্পদ অর্জনে মতিউর রহমানের সহযোগিতার করেছেন অভিযোগ করে, মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে আদালত হাজির করা হয়নি।