Beta
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

এমবাপ্পের পেনাল্টি মিস, ১৫ বছর পর রিয়ালকে হারাল লিভারপুল

আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টারের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ছবি: এক্স
আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টারের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ছবি: এক্স
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

[publishpress_authors_box]

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র নেই। রিয়াল মাদ্রিদেরও উৎসব নেই। যে লিভারপুলের বিপক্ষে জয়ের মালা গাঁথা ছিল, সেই দলটির কাছে এবার ধরাশয়ী মাদ্রিদের অভিজাতরা। ভিনিসিয়ুসের চোটে যার কাঁধে দলের দায়িত্ব চেপেছিল সবচেয়ে বেশি, সেই কিলিয়ান এমবাপ্পে উল্টো ডুবালেন! হতশ্রী পারফরম্যান্সের চূড়ান্ত পরিণতি টানেন পেনাল্টি মিস করে। ফল, ১৫ বছর পর লিভারপুলের কাছে হারের তিক্ততা স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের।

চ্যাম্পিয়নস লিগে খারাপ সময় কাটল না রিয়াল মাদ্রিদের। অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে হারের মুখ দেখল তারা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লিভারপুল এগিয়ে যায় আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টারের গোলে। এরপর স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন বদলি নামা কোডি গাকপো।

সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপ্পে মিস করেন পেনাল্টি। ছবি: এক্স

লিভারপুলের বিপক্ষে রিয়ালের সাম্প্রতিক রেকর্ড ছিল ঈর্ষণীয়। চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা আট ম্যাচে ছিল তাদের দাপট। এই আট ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে জয়, অন্যটি ছিল ড্র। শুধু তা-ই নয়, এরমধ্যে রয়েছে লিভারপুলের বিপক্ষে দুটো চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল জয়ের স্মৃতি। এই পরিসংখ্যানে চোখ বুলালে রিয়ালকে ফেভারিট ধরতেই হবে। তাছাড়া টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তো তারাই।

কিন্তু এবারের মৌসুম ভালো যাচ্ছে না দলটি। তার ওপর লিভারপুলকে পেলেই যিনি জ্বলে ওঠেন, পার্থক্য গড়ে দেওয়া ভিনিসিয়ুস ছিলেন না হ্যামস্ট্রিং চোটে। এই ব্রাজিলিয়ানের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে রিয়াল। একই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার হলো- ভিনিসিয়ুসের অভাব সহসাই পূরণ হচ্ছে না এমবাপ্পের কাঁধে ভর দিয়ে। পছন্দের পজিশন লেফট উইং ফিরে পেলেও ফর্মে ফিরতে পারলেন না ফরাসি ফরোয়ার্ড।

গোটা ম্যাচে আক্রমণে উঠতে গিয়ে খেই হারিয়েছেন। পজেশন নষ্ট করেছেন। ফাইনাল পাসও দিতে পারেননি। এরপর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ সুযোগ নষ্ট করেছেন দুর্বল পেনাল্টি শটে।

অ্যানফিল্ডের ম্যাচে শুধু এমবাপ্পে নয়, রিয়ালের কোনও খেলোয়াড়কেই ঠিক খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিত আক্রমণ দেখা যায়নি খুব একটা। অন্যদিকে শুরু থেকে রিয়ালের রক্ষণের পরীক্ষা নেওয়া লিভারপুল অন্তত ২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে পারতো। ম্যাচের একেবারে শুরুর দিকে দারউইন নুনেসের শট গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেছিলেন। কিন্তু ফিরতি বল ডিফেন্ডার রাউল আসেনসিও পায়ে লেগে জড়িয়ে যাচ্ছিল জালে। তবে ১৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার দ্রুততার সঙ্গে গোললাইন থেকে বল ফেরালে এগিয়ে যাওয়া হয়নি লিভারপুলের।

বিরতিতে যাওয়ার আগে এই ‍নুসেসের আরও দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। একবার তার হেড পোস্টে বাতাস লাগিয়ে যায়। আরেকবার কোর্তোয়ার গালে লেগে প্রতিহত হয় বল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও দুর্ভাগ্য পিছ ছাড়ছিল না লিভারপুলের। কনর ব্র্যাডলির হেড দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন কোর্তোয়া। তবে মিনিট খানেক পরই শাপমোচন করেন ব্র্যাডলি। ৫২ মিনিটে লিভারপুল এগিয়ে যায় ম্যাক আলিস্টারের গোলে। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ব্র্যাডলির সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলেই জাল খুঁজে নেন।

খেলায় ফিলতে মরিয়া খানিক পরই সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায়। ৫৯ মিনিটে নিজেদের বক্সের ভেতর লুকাস ভাসকেসকে ফেলে দেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে রিয়াল সমর্থকদের ঠোটে হাসি ফেরে। কিন্তু স্পট কিক নেওয়া এমবাপ্পে বড় ভুল করে বসলেন। ডান প্রান্ত দিয়ে নেওয়া তার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দিয়ে লিভারপুলের লিড ধরে রাখেন গোলকিপার কুইভিখন কেলেহার।

কোডি গাকপোর গোলে ২-০তে এগিয়ে যায় লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে চলতে থাকে জয়ের উৎসব। ছবি: এক্স

পেনাল্টি মিস করেছেন মোহাম্মদ সালহাও। এমবাপ্পে তবু বল লক্ষ্যে রেখেছিলেন, কিন্তু ৭০ মিনিটে নেওয়া স্পট কিকটি সালাহ মারের পোস্টে। মিশরীয় ফরোয়ার্ডের ওই মিস কোনও সমস্যা হতে দেননি গাপকো। বদলি হয়ে নামা এই ফরোয়ার্ডের গোলে জয় নিশ্চিত হয় লিভারপুলের। সালাহর ক্রস লাফিয়ে উঠে হেড করে জাল খুঁজে নেন ডাচ ফরোয়ার্ড।

তাতে রিয়াল মাদ্রিদ-দুঃখ দূর হলো লিভারপুলের। অ্যানফিল্ডে সাফল্য ফেরানো কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ যা পারেননি, আর্নে স্লটের হাত ধরে সেটি করল অলরেডস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত