Beta
বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

আইন ভেঙে আওয়ামী লীগকে মেঘনা ব্যাংকের কোটি টাকা অনুদান

ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
Picture of খাইরুল বাশার

খাইরুল বাশার

গত বছর আওয়ামী লীগের তহবিলে ১ কোটি টাকা দিয়েছে মেঘনা ব্যাংক, যা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

বেসরকারি ব্যাংকটি সিএসআর খাত থেকে এই অর্থ দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই খাত থেকে কোনও রাজনৈতিক দলকে অর্থ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

মেঘনা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন এইচ এন আশিকুর রহমান। সাবেক এই সংসদ সদস্য দুই দশকের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের পদেও রয়েছেন।

আশিকুর রহমানই গত ২৭ জুন আওয়ামী লীগের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে জমা দিয়ে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন ক্ষমতাসীন দলটির প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

হিসাব জমা দেওয়ার পর আশিকুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২০২৩ সালে দলের আয় বেড়ে ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়, যা আগের বছরের চেয়ে ১৬ কোটি টাকা বেশি। এই সময়ে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আর আগের জমার সঙ্গে মিলিয়ে বছর শেষে উদ্বৃত্ত থাকে ৯০ কোটি টাকার বেশি।

আয়ের উৎসের খাত দেখাতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, মেঘনা ব্যাংক থেকে ১ কোটি ১ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া গিয়েছিল।

নির্বাচন কমিশনে গত ২৭ জুন আয়-ব্যয়ের বিবরণী জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

রাজনৈতিক সংগঠনগুলো দল পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান নিতে পারে। এটা বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত। তবে এই অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন আইন রয়েছে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো পরিচালিত হয় মূলত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী। এই আইনে দলগুলোর অনুদান নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বলা আছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অনুচ্ছেদ ৪৪ (গ) এর দফা (১) অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনও ব্যক্তি, কোম্পানি, একাধিক কোম্পানির গ্রুপ বা বেসরকারি সংস্থা থেকে দান অথবা অনুদান নিতে পারবে।

তবে এক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে, ওই দান বা অনুদানের পরিমাণ কোনও পঞ্জিকা বছরে নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। ব্যক্তি অনুদানদাতার ক্ষেত্রে এই সীমা ১০ লাখ টাকা, আর কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫০ লাখ টাকা।

অর্থাৎ ব্যাংক কোম্পানি হিসাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মেঘনা ব্যাংক থেকে পঞ্জিকা বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১ কোটি টাকা অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ লঙ্ঘন করেছে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল আরপিও অনুযায়ী কোনও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ বা সেবা নিতে পারে না।”

আইন লঙ্ঘন করে অনুদান নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আশিকুর সোমবার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমার তো এটা (বিষয়টি) জানা নেই। আমাদের (মেঘনা ব্যাংকের) সিএসআর থেকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি চেক করে দেখব।”

পরে মেঘনা ব্যাংকের পক্ষ থেকে সকাল সন্ধ্যাকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি কোনও ‘বাধা নেই’। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক দলকে এমন অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির টাকা জমা রাখতে মেঘনা ব্যাংকে একটি হিসাব খোলা হয়েছিল।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা পরিপালন করেই ওই হিসাবটি খোলা হয়েছিল জানিয়ে মেঘনা ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই হিসাবে মনোনয়নপত্র বিক্রি বাবদ ১৭ কোটি টাকা জমা হয়েছিল। এরপর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ১ কোটি ১ লাখ টাকা অনুদানের বিষয়টি অনুমোদন দেয়।

বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলতে সোমবার সকাল সন্ধ্যার পক্ষ থেকে একাধিকবার তার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ফোন ধরেননি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াও।

ক্ষমতাসীন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ফোন ধরলেও কোনও কথা বলতে চাননি।

আইন লঙ্ঘনে শাস্তি কী

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ লঙ্ঘনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলসহ নানা শাস্তির বিধান রয়েছে।

কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির কমিশনার রফিকুল বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল এককালীন ২০ হাজার টাকার অধিক পরিমাণের কোনও দান বা চেক গ্রহণও করতে পারবে না।”

কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এখন মেরুদণ্ড সোজা থাকলে যে পরিমাণ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে, সেই জরিমানা করতে হবে।”

আরপিও ৪৪ (গ) ৪ অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দল ২০ হাজার টাকার বেশি পরিমাণ দান বা চেক নিলে অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে, যা তুলে ধরেন রফিকুল।

তবে শাস্তির এই বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “৪৪ এর ‘গ’-এ যেটা বলা হচ্ছে, সেটা শুধু নির্বাচনকালীন সময়ে। সে সময় ব্যতীত সাধারণ সময়ে যদি ৯০ এর ‘চ’ কেউ যদি ভায়োলেট (লঙ্ঘন) করে, তাহলে তার পানিশমেন্টের (শাস্তি) বিধান কোথাও উল্লেখ নাই। ৯০ অনুযায়ী, যদি কোনও দল অনুদানের টাকার বিধানে ব্যত্যয় করে, তার শাস্তির বিধান কোথাও নেই। এখানে আইনি অস্পষ্টতা রয়েছে।”

তবে আইনে শাস্তির বিধান নেই বলে আইন মানা হবে না- এটা ‘গুড প্র্যাকটিস’ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, “শাস্তির কথা বলা নাই বলে রাজনৈতিক দলগুলো আইন মানবে না- এটা শুভ বুদ্ধি না। রাজনৈতিক দলগুলো যাদি তাদের জন্য প্রযোজ্য আইন না মানে, তাহলে সাধারণ মানুষ কু-তর্ক করবে আইন না মানা নিয়ে। যার ফলে সাধারণের কাছে ভুল বার্তা যাবে।”

আইনে অস্পষ্টতা দূর করতে শাস্তির বিধান ‍যুক্ত করা প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।

তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল বলেন, “৪৪এর (গ) ৫ অনুযায়ী যদি কোনও রাজনৈতিক দল এই অনুচ্ছেদের বিধান লঙ্ঘন করে, তাহলে অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। ৪৪ এর রেফারেন্স ৯০ এ দেওয়া হয়েছে বলে আলাদা শাস্তির বিধান নেই।”

অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন নিয়ে সকাল সন্ধ্যার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, “এ বিষয়ের এত ডিটেইলস আমি জানি না। শুধু জেনেছি, তারা (আওয়ামী লীগ) তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে।”

নিবন্ধিত দলগুলোর হিসাব বিবরণীর ফাইল নির্বাচন কমিশনারদের কাছে আসেনি জানিয়ে তিনি বলেন, “আসলে দেখব, দেখলে জানা যাবে। আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে জমা দিতে হয়। কোনও দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।

নির্বাচন ভবন।

সিএসআরের টাকা কি রাজনৈতিক দলকে দেওয়া যায়?

২০২৩ সালে মেঘনা ব্যাংক কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর খাতে ব্যয় করেছিল মোট ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে শিক্ষা খাতে ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, পরিবেশ ও জলবায়ু খাতে ৪৭ লাখ টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি খাতে ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং অবকাঠামো খাতে ৫১ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সিএসআর ব্যয়ের এই তথ্য জমা দিয়েছে মেঘনা ব্যাংক, তাদের ওয়েবসাইটে বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে টাকার অঙ্কটি দেওয়া আছে।

তবে সেখানে কোথাও আওয়ামী লীগকে অনুদান দেওয়ার কথা উল্লেখ নেই। মেঘনা ব্যাংক তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গত বছরে তারা ১৫ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে, সরকারের গৃহনির্মাণ প্রকল্পে অনুদান দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে অনুদান দিয়েছে, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত শেখ কামাল সেকেন্ড বাংলাদেশ ইয়ুথ গেমসে অনুদান দিয়েছে, শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জড মানুষদের হুইল চেয়ার দিয়েছে।

২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন ব্যাংকগুলোর জন্য সিএসআর নীতিমালা জারি করে, তখন গভর্নর ছিলেন আতিউর রহমান।

রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে অর্থ দিতে পারে কি না- জানতে চাওয়া হলে আতিউর সোমবার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সিএসআর থেকে কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেওয়া যাবে না।

“নীতিমালা অনুযায়ী, কোনও রাজনৈতিক দলকে সিএসআরের টাকা থেকে অনুদান দেওয়ার কোনও সুযোগই নাই। কোনও সংগঠনকে দেওয়া যেতে পারে, তবে সেটা অবশ্যই রাজনৈতিক দল নয়। তাছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলকে ব্যাংক থেকে অনুদান দেওয়া রুচিসম্মতও হবে না।”

মেঘনা ব্যাংকের অনুদান দেওয়া নিয়ে আতিউর বলেন, “এটা তারা (মেঘনা ব্যাংক) কীভাবে দিয়েছে, তারা সেটা ভালো বলতে পারবে।”

মেঘনা ব্যাংক ২০১৩ সালে কার্যক্রম শুরু করে।

ব্যাংক খাতের সিএসআর নীতিমালা অনুযায়ী, কোনও ব্যাংকের বার্ষিক মুনাফার ন্যূনতম ৫ শতাংশ সিএসআর খাতে ব্যয় করতে পারবে। তবে এই ব্যয়ের মধ্যে ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে, ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে এবং ২০ শতাংশ পরিবেশ ও জলবায়ু খাতে ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবিষয়ে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ওই (মেঘনা) ব্যাংক ঠিক কীভাবে সিএসআর করছে, তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।

“তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সিএসআর কার্যক্রম চালুর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তার উদ্দেশ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। এজন্য সুস্পষ্ট নীতিমালাও আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এই ব্যাংকটি সেই নীতিমালার মধ্যে থেকে অনুদান দিয়েছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।”

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই সিএসআর সংক্রান্ত নীতিমালা মেনে অনুদান দিতে হয়। এ বিষয়ে কোনও ব্যত্যয় ঘটছে কি না, তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে।”

ব্যাংকগুলো তাদের সিএসআরের অর্থ ব্যয়ের তথ্য ছয় মাস পরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়।

মেঘনা ব্যাংক নীতিমালার কোনও ব্যত্যয় ঘটিয়েছে কি না, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি মেজবাউল। তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত করে বলতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারপর বলতে হবে।

মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ এন আশিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের পদেও রয়েছেন।

দেশের চতুর্থ প্রজন্মের মেঘনা ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে নিবন্ধন পায় ২০১৩ সালে। তখন রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও কয়েকটি ব্যাংক নিবন্ধন পেয়েছিল বলে সমালোচনা রয়েছে। ওই বছরের ৯ মে থেকে মেঘনা ব্যাংক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।

মেঘনা ব্যাংকে শুরু থেকেই আশিকুর রহমান চেয়ারম্যান, এখনও রয়েছেন। তার স্ত্রী রেহানা আশিকুর রহমান, ছেলে রাশেক রহমান ও মেয়ে ইশমাম রাইদা রহমান ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারগ্রহীতা। তার আরেক ছেলে শারেক রহমান ব্যাংকের পরিচালক হিসাবে রয়েছেন।

আশিকুর রহমান রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদে যান তিনি।

তবে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি আশিকুর। তার বদলে নৌকার মনোনয়ন পান ছেলে রাশেক রহমান। তবে ভোটে জিততে পারেননি রাশেক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত