২০১৮ সালের পর উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের নায়ক শেখ মেহেদি হাসান। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৩ রান দিয়েছেন। ২৪ বলের মধ্যে ১৫টিতে কোন রান দেননি।
ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে মেহেদির এমন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতে হাত খুলে রান নিতে পারেননি উইন্ডিজ ব্যাটাররা। নিকোলাস পুরান, জনসন চার্লসদের মতো বিধ্বংসী ব্যাটাররা আউট হয়েছেন চাপে পড়ে।
মেহেদি হাসান জানালেন রান আটকে রাখার পরিকল্পনাতেই দলকে সফলতা এনে দিতে পেরেছেন। ম্যাচ শেষে এই স্পিনার জানিয়েছেন, “আমি তো নতুন বলে সবসময় বল করে থাকি। ওদের ডানহাতি ব্যাটার ছিল, আমিও ডানহাতি তাই একটু কঠিন ছিল রান আটকে রাখা। পরিকল্পনা ছিল এ উইকেটে আমি যেন ওদের সহজ শটস নিতে না দেই। কারণ ওরা তো শক্তিশালি।”
তাই বলে খুব সহজেই বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে এমন নয়। উইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ম্যাচ তেড়েই নিচ্ছিলেন প্রায়। মেহেদি বলেছেন, “আপনাদের কি মনে হয়েছে যে আমরা আরামে জিতেছি। সবকিছু কষ্ট করেই হয়েছে। সবাই জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিল। প্রতিটা ক্রিকেটারের ভেতর দেখবেন জয়ের ইচ্ছা ছিল তাই জিতেছি।”
মেহেদি ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারেননি। টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত নন। কন্ডিশন ও কম্বিনেশনের কারণে প্রায়ই একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়। দলে থেকেও এই মাঠে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলা হয়নি তার। সোমবারের জয়ের নায়কের আক্ষেপ বিশ্বকাপে এই মাঠে খেলতে পারলে ভালো করতেন।
মেহেদি বলেছেন, “বিশ্বকাপে যে তিনটা ম্যাচ হয়েছিল সেখানে আমি খেলি নাই। আমারও তখন আফসোস হচ্ছিল। খেললে এই উইকেটে ভালো করতাম। সেখান থেকে আজকের আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। যদি ভালো পরিকল্পনা করা হয় তাহলে ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে দিন শেষে সবসময় একই রকম হবে না।”