Beta
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

মোদীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মতো করে প্রতিক্রিয়া জানাবে।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে হারিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। দিনটি বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়।

এই যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা দিয়েছিল ভারতের সামরিক বাহিনী। বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনীর কাছেই ১৯৭১ সালে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। চিরশত্রু পাকিস্তানকে হারানোর সেই দিনটি ভারতের সামরিক বাহিনীও ঘটা করে পালন করে থাকে।

এবার বিজয় দিবসে ১৬ ডিসেম্বর সকালে মোদী তার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন- “আজ বিজয় দিবসে আমরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে সাহসী সৈন্যদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ উৎসর্গ এবং অটল সংকল্প রক্ষা করেছে আমাদের দেশকে এবং এনে দিয়েছে গৌরব। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে আছে, থাকবে এবং অনুপ্রাণিত করে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে।”

মোদীর এই পোস্ট নিয়ে সোমবার বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের বিজয় হিসাবে দেখিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হিসাবে দেখে ভারতের এই হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মোদীর পোস্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও। ভেরিফায়েড ফেইসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “তীব্র প্রতিবাদ করছি। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের বিজয়ের দিন। ভারত ছিল এই বিজয়ের মিত্র, এর বেশি কিছু নয়।”

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মতো করে প্রতিক্রিয়া জানাবে।   

মিয়ানমারের বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘেঁষা রাখাইনের প্রায় ৯০ শতাংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও সীমান্তবর্তী দেশগুলোর করণীয় ঠিক করতে মিয়ানমারের আশপাশের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ১৯ ডিসেম্বর বসছে ব্যাংককে। সেখানে ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও যাওয়ার কথা। সেই বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বুধবার তিনি থাইল্যান্ড যাচ্ছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বৈঠকে মিয়ানমার নিয়ে ইনফরমাল আলোচনা হবে। বর্ডার, ক্রাইম ও মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ থাকবে আলোচনায়। কথাবার্তা কোনদিকে এগোয় তার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের বক্তব্য।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত