প্রথমবার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা বাংলাদশ যুব হকি দলকে এক দিন আগে ফেডারেশন থেকে মাত্র ৫ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। যার অর্থ ১৮ জন খেলোয়াড় ও ৩ কোচ, কর্মকর্তারা প্রত্যেকে পাবেন ২৩ হাজার ৮০৯ টাকা। অঙ্কটা তাদের সাফল্যের তুলনায় বেশ কম!
হকিতে এমন বিরল কীর্তি গড়া দলের জন্য সামান্য অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক সমালোচনার ঝড়। এরই মাঝে এবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এই দলকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শুক্রবার।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলকে এই অর্থ পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এমনিতেই বাংলাদেশের যুব হকি দলের খেলোয়াড়রা ক্যাম্প চলার সময় ভাতা পান মাত্র ৪০০ টাকা। এছাড়াও আছে নানা প্রতিবন্ধকতা।
যদিও গত অক্টোবরে সাফ জয়ী নারী ফুটবল দলকে ১ কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজ বাসভবনে মেয়েদের সংবর্ধিত করেন। অথচ দেশের হকি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জুনিয়র বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর অনূর্ধ্ব-২১ দলকে শুধু শুভেচ্ছা বার্তাতেই যেন দায়সার!
ক্রিকেটের পর হকিই বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলা, যারা কিনা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ফুটবলের সাফল্য দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডিতেই। অথচ জুনিয়র এই হকি দল শক্তিশালী মালয়েশিয়া ও চীনের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে এশিয়া কাপে ১০ দলের মধ্যে হয়েছে পঞ্চম। ভারতে অনুষ্ঠেয় ২০২৫ বিশ্বকাপে ৩৪টি দেশের একটি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে খেলা আর একটি অঞ্চলের সেরা হওয়ার মধ্যে বিস্তর তফাত। সেই পার্থক্যই হয়তো নির্ণয় করতে পারেনি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন।
অথচ দক্ষিণ এশিয়ান নারী ফুটবলে সেরা হওয়ার পর ঋতুপর্ণা-তহুরা খাতুনদের নিয়ে মাতামাতির কমতি নেই। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি, বিসিবি থেকে ২০ লাখ টাকা পেয়েছে নারী ফুটবল দল। বাফুফে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। সাউথ ইস্ট ব্যাংক প্রত্যেক ফুটবলারকে দিয়েছে ৩ লাখ টাকা করে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে সাফজয়ী দলকে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দেবে। আয়োজনটাও ঢাকার বাইরে কক্সবাজারে। শনিবার এই সংবর্ধনা দেওয়া হবে ফুটবলারদের।