উইন্ডিজের বিপক্ষে এবার ভিন্ন কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অ্যান্টিগা ভয় দূর করা, ব্যর্থতার অতীত ভুলিয়ে দেওয়া, নিজের ৫০তম টেস্টে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ছিল। টেস্ট শেষে অবশ্য নতুনের গান নয়, ২০১ রানের হার হজম করে পুরোনো সুরের বুলি আওড়াতে হয়েছে অধিনায়ক মিরাজকে।
সেই সুর হলো – ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া, সামনের ম্যাচে ভুল কমিয়ে আনার চেষ্টা করা। তবে এবার নতুন অধিনায়ক একটু ভিন্নতা এনেছেন। মিরাজ বলেছেন, “টেস্ট ম্যাচে এমন ভুল হতে পারে।”
মিরাজের এমন বক্তব্যে প্রশ্নটা উঠতেই পারে – ক্রিকেটাররা আর কত ভুল করবেন? বিশ্বের সব টেস্ট খেলুড়ে দলই এক ইনিংসে খারাপ করলে পরের ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায়। নিয়মিত ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকে না কোন দলই। বাংলাদেশের জন্য সেই সূত্র খাটবে না।
ওয়ানডেতে যেমন বছরের পর বছর খেলে নিজেদের ঝলিয়ে নেওয়া গেছে। বড় দলের কাতারে লড়াইয়ের সাহস মিলেছে, টেস্টে তা হচ্ছে না। ২৪ বছর আগে প্রথম টেস্টে ৪০০ রানের প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার ব্যর্থতায় ম্যাচ হারতে হয়। ২৪ বছর পরও ব্যাটিং ব্যর্থতায় সাদা পোষাকের হতাশা বাড়ে।
এর যেন শেষ নেই। মিরাজরা অবশ্য একই কথা বলে যান, “আমরা এই ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করিনি। বেশ চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি। যেমন বড় জুটি গড়তে পারিনি। ৩০-৪০ রানরে জুটি হয়েছে কিন্তু এগুলো বড় করতে পারিনি। আমরা কিছু ভুল করেছি, এমন টেস্ট ম্যাচে এই ভুলগুলো হয়ে যায়।”
মিরাজের চোখে উইন্ডিজের প্র্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অষ্টম উইকেটে জাস্টিন গ্রিভস ও কেমার রোচের ১৪০ রানের জুটি ম্যাচ কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু নিজেরা এমন জুটি গড়তে ব্যর্থ।
আগের সববারের মতো এবারও জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্টে ভুল শুধরে ব্যাটিং ভালো করার আশা দেখালেন মিরাজ। কিন্তু বিবর্ণ টপঅর্ডার ও আচমকা ভুল শটে উইকেট বিলিয়ে আশা মিডলঅর্ডারের ব্যাটাররা সেই আশার বেলুন ফোলাতে পারবেন তো!