১৮ বছরে প্রথমবার সাকিব আল হাসানকে ছাড়া কোন আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সাকিব না থাকায় ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে খর্ব শক্তির বলেছেন রিকি পন্টিং, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশের কেউই সাকিব না থাকায় দল পিছিয়ে এমনটা বলছেন না। তবে সাকিবের মানের ক্রিকেটার না থাকায় তার প্রভাব যে পড়বে তা অস্বীকার করছেন না কেউই। যেমন কোচ সোহেল ইসলামও জানিয়েছেন সাকিবের না থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য একপ্রকার শূণ্যতা।
সাকিবের অভাব পূরণে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করা হচ্ছে মেহেদি হাসান মিরাজের ওপর। কিন্তু ঠিক সাকিব সুলভ কিছু এখনও করা হয়নি তার। এছাড়া তরুণ রিশাদ হোসেনের ওপর নজর থাকবে।
সোহেল জানালেন সাকিবের অভাব পূরণে তৈরি হবে এই ক্রিকেটারদের আরও সময় লাগবে, “সাকিব দীর্ঘদিন নিজের জায়গায় সেরা ভূমিকা পালন করেছে। এখন ওই জায়গা কারও পূরণ করতে সময় লাগবে। সাকিবের যে দায়িত্ব ছিল সেটা একজন তরুণ ক্রিকেটার যেমন রিশাদ বা একটু অভিজ্ঞ মিরাজ সে কীভাবে নিবে সেটা বুঝতে ওদের একটু সময় লাগবে। মিরাজ অনেকদিন ধরে খেলছে সে একটু দ্রুত বুঝতে পারবে আর রিশাদও সময়ের সঙ্গে ধরে ফেলতে পারবে।”
এদিকে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলা টাইগার্সের অনুশীলন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া বা পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটাররা অফ সময়ে যেন ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয় এই ক্যাম্পের মাধ্যমে।
এবার এই ক্যাম্পে আছেন লিটন দাস। নিয়মিত দলে থাকা এই ব্যাটার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন। টাইগার্সের ক্যাম্পে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি লিটনদের দুর্বলতা নিয়েও কাজ হচ্ছে।
বাংলা টাইগার্স ক্যাম্পের কোচ সোহেল ইসলাম বলেছেন, “শুধু লিটন না, এখানে লাল বলের জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটাররা আছে। সাদা বলে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে যারা আছে সম্ভাব্য সবাইকে নিয়ে এই অনুশীলন হচ্ছে। এখানে মূলত ওরা কি চায় সেই অনুযায়ী কাজ হবে।”
“সেটা স্কিল বেইজড হবে, যেমন কোন ক্রিকেটার যদি তার একটা নির্দিষ্ট দুর্বলতা নিয়ে কাজ করতে চায় সেটা এখানে হবে। আপাতত ২৫ তারিখ পর্যন্ত এরপর ঢাকা লিগ কোন কারণে পিছিয়ে গেলে তখন আবার হতে পারে।”
জাতীয় দলের টেস্টের ক্রিকেটাররা যেমন মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, নাঈম হাসান, জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনরা এই ক্যাম্পের নিয়মিত সদস্য। এছাড়া শামীম হোসেন, আফিফ হোসেনরাও আছেন।
সব ক্রিকেটারদেরই জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এই ক্যাম্পে। সোহেল যোগ করেছেন, “এখানে আমরা ক্রিকেটারদের ওই ভাবে তৈরি করছি যেমন জাতীয় দলের জন্য তারা নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে। জাতীয় দল যেভাবে চায় আমরা একটা ক্রিকেটারকে ওই ভাবে তৈরি করবো বা তার ওইদিকগুলো নিয়ে কাজ করবো। এটা জাতীয় দলের চাওয়া মতোই হচ্ছে।”