Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর : ব্যাপক সংঘাতের পর সেনাবাহিনীর অবস্থান

কয়েক ঘণ্টা সংঘাতের পর রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মিরপুর-১০ গোল চত্বরে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী।  ছবি : সকাল সন্ধ্যা
কয়েক ঘণ্টা সংঘাতের পর রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মিরপুর-১০ গোল চত্বরে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর ঘিরে প্রায় ৫ ঘণ্টা সংঘাতের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হটিয়ে স্থানটি দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে মিরপুর ২ নম্বর স্টেডিয়ামের দিকে চলে যায় ক্ষমতাসীনদের সমর্থকরা।

রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় সেনাবাহিনী তাদের সাজোয়া যানসহ সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় সেনা সদস্যদের সঙ্গে সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাত মেলাতে দেখা যায়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শনিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানির জন্য সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি তুলে রবিবার থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।

একই দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রবিবার রাজপথে আওয়ামী লীগ নেতাদের জমায়েত এবং সোমবার শোক মিছিলের কর্মসূচি দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির শুরুর দিন রবিবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও রাজপথে নামার পর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিন মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর ঘিরে সংঘাতে প্রায় শতাধিক আহত এবং অনেককেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আওয়ামী লীগের দখলে ছিল মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর। প্রায় ৫ ঘণ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে আন্দোলনকারীদের। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় আন্দোলনকারীরা চত্বর দখলে নেয়। আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাইক রেখে দৌড়ে পালায়।

এর আগে সকালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা ১০ নম্বর দখল নেয় এবং তারা আন্দোলনকারী ও শিক্ষার্থীদের অলিগলিতে খুঁজে মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ।  

সংঘর্ষ বেনারশি পল্লী, আইডিয়াল গার্লস স্কুল সড়ক, বিআরটিএ সড়ক, মিরপুর ৬ নম্বর, আল হেলাল হাসপাতাল সড়ক ছড়িয়ে পর।

সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের সমর্থক অন্তত দুই জনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়, তাদের মধ্যে একজনের গায়ে সাদা গেঞ্জি ও মাথায় হেলমেট পরা দেখতে পান এই প্রতিবেদক। সেসময় মিরপুর স্টেডিয়াম ও সুইমিং কমপ্লেক্সের সামনেও সংঘর্ষ চলছিল।

এক পর্যায়ে দুপুর ৩টার দিকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার সেল ও গুলি ছোড়ে।

প্রায় ৫ ঘণ্টা সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হটিয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মিরপুর-২ নম্বর স্টেডিয়ামের দিকে চলে যায়।

এ সংঘাতে আহত অনেককেই মিরপুর-১১ নম্বরের ইসলামীয়া হাসপাতালে নিতে দেখা যায়। দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল অর্ধশতাধিক, যাদের অনেকেই ছিলেন গুলিবিদ্ধ। গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্য হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।

এছাড়া আজমল ও আলোক হাসপাতালে আহত প্রায় ৪০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত