এবার বিপিএলে শুরু থেকেই ফরচুন বরিশালে ছিলেন মোহাম্মদ আলি। ৩২ বছর বয়সী এই পেসার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট স্কোয়াডে থাকায় দেশে ফিরে গিয়েছিলেন কিছুদিনের জন্য। পরে আবার ফিরে এলেও সুযোগ হচ্ছিল না বরিশালের একাদশে।
পাকিস্তানেরই ফাহিম আশরাফ ও জাহান্দাদ খানের জন্য সুযোগ হচ্ছিল না তার। সেই সুযোগটা পেলেন প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে। সেটা কাজে লাগালেন দুহাত ভরে। ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আলিই। নিজের শেষ ওভারে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
আলি সেই ওভারে ফিরিয়েছিলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শামীম হোসেন, আরাফাত সানি আর আল ইসলামকে। বিপিএলে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলার এখন আলি। অভিষেক ম্যাচে রেকর্ড গড়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘‘আমি সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমি বিশ্বাস করি সুযোগ না পেলেও আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি আপনি সুযোগ পান কিন্তু প্রস্তুত নন, তাহলে তো হলো না। তাই আমি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম আমার সময়মতো পারফরম্যান্সের জন্য।’’
গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের ঘরোয়া চ্যাম্পিয়নস টি-টোয়েন্টি কাপে ৯ ইনিংসে আলি নেন আসরের সর্বোচ্চ ২২ উইকেট। শেষ পাঁচ ম্যাচে তিনবার ৪ উইকেট নেন তিনি। পিএসএলে ১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মুলতান সুলতানসকে ফাইনালে তোলায়।
৪ টেস্টে ৬ উইকেট পেয়েছেন আলি। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি নিয়ে আলি বললেন, ‘‘সবসময় বলি টেস্ট আর ৪ দিনের খেলা (প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ) হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন। কেউ টেস্টে ভালো করলে বাকি ফরম্যাট ঠিক হয়ে যায়। আপনি বলতেই পারেন টি-টোয়েন্টি ভ্যারিয়েশনের খেলা। ৪ দিনের খেলাতে কন্ডিশন যেমনই থাকুক ভালো জায়গায় বল করে যেতে হয়। শর্টার ফরম্যাট অনেক সহজ হয়ে যাবে তাদের জন্য যারা ৪ দিনের খেলায় ভালো করে।’’
বিপিএলে ভালো করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ করে নিয়েছেন উসমান খান, খুশদিল শাহ আর ফাহিম আশরাফ। তাদের শুভকামনাই জানালেন আলি, ‘‘সবার আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাওয়া তিন ক্রিকেটারকে অভিনন্দন। প্রথমবার বিপিএলে খেলছি। দারুণ উপভোগ করছি এখানে।’’