বিদেশি ফুটবলার ছাড়া এ যেন অন্য আবাহনী। যেখানে বিদেশি নির্ভর দল গড়েও গত কয়েক বছরে প্রিমিয়ার লিগ বা টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারে না আবাহনী, সেখানে বিদেশি ছাড়াই এবারের মৌসুমে দারুণ শুরু করেছে আকাশী নীল দলটি।
প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের পর এবার ফেডারেশন কাপেও জিতল আবাহনী। মঙ্গলবার তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে।
কিন্তু দিনের অন্য ম্যাচে মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে রহমতগঞ্জ।
মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই আবাহনী। শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে আধিপত্য করেছে আবাহনী। তবে শাহরিয়ার ইমন-জাফর-ইব্রাহিমরা সেভাবে পরীক্ষা নিতে পারেননি প্রতিপক্ষ গোলকিপারের।
আবাহনীকে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। সুযোগ এসে যায় ১৭ মিনিটে। মোহামেডান থেকে আসা কামরুল ইসলামের ফ্রি কিকে ইমনের হেড দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালের দিকে ছুটতে থাকে। চট্টগ্রাম আবাহনীর এক ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করলে সেটি গোললাইন পেরিয়ে গেছে দাবি করে আবাহনী লিমিটেড। এই দাবিতে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সাত মিনিট পর গোলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি (১-০)।
আবাহনী ব্যবধান বাড়াতে আক্রমণে ধার বাড়ায় আরও। বিরতির পর আবাহনী আরও দুই গোল করে প্রতিপক্ষকে ছিটকে দেয়। ৭৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের পাশাপাশি ম্যাচের ভাগ্যও গড়ে দেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বাম দিকের বক্সে কেউ চার্জ না করলে সময় পেয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। আলতো টোকায় বল একটু এগিয়ে জায়গা করে নিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে ফেলেন বল। ইয়াসিন খান ম্যাচের শেষ দিকে করেন ৩-০।
মোহামেডানের হার
প্রিমিয়ার লিগে ১০ জন নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে জিতেছিল মোহামেডান। ফেডারেশ কাপেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো তারা। কিন্তু এবার ভাগ্য সহায় হয়নি। আক্রমণে এগিয়ে থেকেও বরং ম্যাচ হারতে হয়েছে। ১০ জনের মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে রহমহগঞ্জ।
মঙ্গলবার কিংস অ্যারেনাতে ‘বি’ গ্রুপে পুরো ম্যাচের অধিকাংশ সময়ে মোহামেডানের দাপট চলতে থাকে। ইমানুয়েল সানডে-আরনেস্ট বোয়েটাংরা সুযোগ পেয়েও গোলের দেখা পাননি। রহমতগঞ্জের গোলকিপার মামুন আলিফ একাই তিনটি গোলের সুযোগ নস্যাৎ করে দেন।
৮৩ মিনিটে অনেকটাই ধারার বিপরীতে গোল পায় রহমতগঞ্জ। বক্সে ঢুকে রাজন হাওলাদার কাটব্যাক করলে এক ডিফেন্ডার প্রতিহত করেন। ফিরতি বলে ৬ গজের ঠিক বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে এক ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠান জালে।
দুই মিনিট পর মোহামেডান ১০ জনের দলে পরিণত হয়। মোস্তফা কারবাহা স্লেজিং করেন। সেটি শুনে ডান হাত দিয়ে তার মুখে আঘাত করেন শান্ত। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান তাকে।