জুলাই আন্দোলনের সময়কার একটি হত্যা মামলায় পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হলো সাবেক আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য, চিকিৎসকদের নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সাড়ে পাঁচ মাস পর গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরের মনসুরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল তাকে।
সেদিনই তাকে আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের আবেদনে তাকে ৫ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞেসাবাদের অনুমতি দেন বিচারক।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার তাকে ফের আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ধানমণ্ডি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আমজাদ হোসেন তালুকদার।
ঢাকার মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান তখন জালাল মহিউদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আসামি পক্ষের আইনজীবী রাহুল দেবনাথ জানিয়েছেন।
মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ১৯৮১-১৯৮৩ সময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। পেশায় চিকিৎসক জালাল মহিউদ্দিন পরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে ঢাকা-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি।
যে মামলায় জালাল মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেই মামলায় েআওয়ামী লীগের আরও নেতা গ্রেপ্তার রয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকালে নিউ মার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় পরে তার শ্যালক আব্দুর রহমান মামলা করেন।
মামলায় জালাল মহিউদ্দিন ১২ নম্বর আসামি। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও ১২৯ জনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।