Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

কলাম

মাতৃত্বের দায় বনাম মামা’স বয় কারখানা

উম্মে রায়হানা। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।

একটা মজার গল্প দিয়ে শুরু করি। গল্পটা এদেশের নয় কিন্তু কম বেশি সব দেশের মানুষই এর রস আস্বাদন করতে পারবেন। গল্পটা এরকম— এক লোক তার স্ত্রীর রান্না পছন্দ করেন না। স্ত্রী নানা কিছু চেষ্টা করেন, কোনও মতেই স্বামীর মন পান না। একদিন লোকটা স্ত্রীকে বললেন, ‘‘আজকে আমার অফিসের বসকে নিমন্ত্রণ করেছি, রান্না ভালো না হলে তোমার একদিন কি আমার একদিন!’’ স্ত্রী মহা নার্ভাস হয়ে অতি সাবধানতাবশত মাংস পুড়িয়ে ফেললেন। মাংস পুড়ে গেছে বুঝতে পেরে তিনি তো ভয়েই অস্থির, কে জানে আজকে হয়তো তার সংসারেই আগুন লেগে গেল! হয়তো তালাকই হয়ে যাবে! এ সময় স্বামী এলেন রান্নাঘরে খোঁজ নিতে। মাংসের হাঁড়ির ঢাকনা তুলেই মহা আনন্দের সঙ্গে বললেন, ‘‘কি দারুণ! আজকে তুমি একদম আমার মায়ের মতন রান্না করেছ!’’

শুরুতে ‘মজার’ বললেও গল্পটা আদতে মজার নয় বরং করুণ রসের বলা যেতে পারে, পুরুষতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নারীর হেনস্থার গল্প বরাবরই মুখরোচক। এই গল্পে নারী চরিত্র দুইজন, একজন উপস্থিত অন্যজন অনুপস্থিত। অনুপস্থিত যে মা, তিনিও কম হাস্যকর নন, ভয়ে জড়সড় মেয়েটির শাশুড়িটি যিনি এমন বাজখাই পুত্রের জন্ম দিয়েছেন, তিনি সব রান্নাই পুড়িয়ে ফেলতেন। এই গল্পের একটা মোরালও আছে আর তা হচ্ছে, খাদ্যাভ্যাস তৈরি হয় শৈশবে, রান্নার ধরন পরিবারভেদে ভিন্ন হয়। ফলে, ভালো রান্না খারাপ রান্না বলে কিছু নেই, যে যেমন খেয়ে বড় হয়, সে তেমন খাদ্যকেই ভালো বলে। কিন্তু আমি এই গল্প দিয়ে লেখা শুরু করেছি অন্য একটা কারণে। আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তু লেখার শিরোনাম থেকেই স্পষ্ট আর তা হচ্ছে মাতৃত্বের দায়। এই গল্পের যে দিকটার দিকে আঙ্গুল তোলা আমার মুখ্য উদ্দেশ্য তা হচ্ছে পুত্রসন্তানদের মায়েদের প্রতি অবসেশন এবং উল্টোটাও। অর্থাৎ মায়েদের ছেলে নিয়ে অবসেশন। অবসেশনের বাংলা আমার জানা নেই, জানবার চেষ্টাও করিনি। শব্দটা সকলেই বোঝে বলে আমার বিশ্বাস।  

মায়েদের পুত্রসন্তান সম্পর্কে অন্ধত্বকে অনেকেই ফ্রয়েডের তত্ত্ব দিয়ে ব্যখ্যা করেন। ‘পেনিস এনভি’ বা ‘শিশ্নাসূয়া’ থেকেই নাকি নারীরা পুত্রসন্তান কামনা করে থাকেন! আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ধারণায় বিশ্বাসী নই। সত্য বটে, মনোবিজ্ঞান আমার বিষয় নয়, যা পড়িনি, জানিনা, তাকে উড়িয়ে দেওয়া ধৃষ্টতা। কিন্তু এই কথাও সত্য যে ফ্রয়েডের তত্ত্ব যথেষ্টই আউটডেটেড এবং সে সম্পর্কে বিস্তর আলাপও রয়েছে। পুত্রসন্তানের প্রতি আলাদা আদিখ্যেতার অনেকটাই সামাজিকভাবে নির্মিত বলে আমার মনে হয়। ব্যাটাগিরির এই দুনিয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, আয়-রোজগারের চিন্তা, সন্তানের মালিকানা, পিতামাতার দায়-দায়িত্ব, পারিবারিক সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা—এমন অনেক কিছুই পুরুষের ওপরই চাপিয়ে দেওয়া হয়। ফলে পুত্রসন্তানকে মনে করা হয় ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের মতন, বৃদ্ধ বয়সের নিরাপত্তার চাবি, অন্ধের ষষ্ঠী।

পিতাদের মধ্যে কন্যাসন্তান নিয়ে আদিখ্যেতা অবশ্য থাকেই। একে জৈবিক বা হরমোনাল বলে প্রমাণ করাও হয়তো সম্ভবই। হুমায়ূন আহমেদের গল্প উপন্যাসে পিতাদের মধ্যে কন্যাসন্তানের জন্য আহ্লাদের বেশ ছড়াছড়ি দেখতে পাওয়া যায়। হুমায়ূন আহমেদের গল্প উপন্যাস আমাদের সমাজের ছবিই, যে সমাজে অধিকাংশ পিতাই কন্যাসন্তানকে নাম ধরে না ডেকে ‘মা’ কিম্বা ‘আম্মা’ বলে ডাকেন। আমি নিজেও এই রকম ডাক শুনেই অভ্যস্ত। আমার বাবা এবং শ্বশুর দুইজনেই আমাকে ‘মা’ এবং ‘আম্মা’ বলে ডেকেছেন। তাঁদের দুইজনের কাছেই আমি পেয়েছি অবাধ প্রশ্রয় এবং অতল স্নেহ। কিন্তু এটাই পরিপূর্ণ ছবি নয় এই দেশের, এই সমাজের।

অল্প কিছু পরিবারে এই আহ্লাদ থাকলেও সেটা ‘কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা’র দুশ্চিন্তায় রূপান্তরিত হতে বেশি সময় লাগে না। বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক জায়গায় অনেক পরিবারে শ্বশুরেরা পুত্রবধূকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেন, এমনকি শ্বশুর বা পিতা কর্তৃক পুত্রবধূ এবং কন্যাসন্তান ধর্ষণের খবরও বিরল নয়। অনেক উচ্চবিত্ত পরিবার যেখানে কন্যাদের পাত্রস্ত করতে তেমন সমস্যা নেই সেখানে অনেক কন্যাসন্তান আজীবন বাপ ভাইদের আদর আহ্লাদ পেতে থাকেন। যুগে যুগে দেশে দেশে এমন উচ্চবিত্ত পরিবারের নারীরাই শুরু করেছেন বিদ্যাশিক্ষা করা, চিকিৎসক থেকে রাজনীতিবিদ পর্যন্ত পেশায় বিচরণ। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের অন্যান্য স্তরেও। 

কেউ বলতেই পারে, পিতাদের কন্যা নিয়ে আহ্লাদ যদি হরমোনাল হতে পারে তাহলে মায়েদের পুত্র নিয়ে আদিখ্যেতা কেন নয়! সত্য বটে, মায়েদের বিষয়টা হরমোনাল হওয়ার সম্ভাবনাই বরং বেশি। সমাজে আধিপত্যবাদী ধারণায় নারীকেই জৈবিক প্রাণি মনে করা হয়, বিপরীতে পুরুষকে ধরা হয় বুদ্ধিমত্তাধারী জীব। সবসময় এই রকম বাইনারি অপোজিশনে চলে যাওয়া মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে বড় বিভ্রম যা নারী পুরুষের প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল থাকে। নারী এবং পুরুষের বাইরে আরও জেন্ডার হতে পারে, সাদা এবং কালোর মধ্যে থাকতে পারে ধূসর রং— এই ধারণা মজ্জাগত করতে করতেই চলে যাচ্ছে অনেক সময়।   

যা বলছিলাম, পিতা-কন্যার ক্ষেত্রে উচ্চবিত্ত সমাজে যা ঘটে তার বিপরীত বিষয়টির ব্যত্যয় খুব একটা হয় না। অনেকগুলো পুত্র সন্তান থাকলেও ছেলের মায়েদের আহ্লাদ থাকে দেখার মতন, অর্থনৈতিক শ্রেণি যা-ই হোক না কেন, মায়েরা ছেলে বলতে অন্ধই হন সাধারণত। আর একটি মাত্র পুত্র সন্তান হলে তো কথাই নেই। মায়ের কাছে সবেধন নীলমণি সেই ছেলে একদিকে, বাকি দুনিয়া অন্যদিকে। পুত্রকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে পুত্রের পিতা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বৈরিতা করতেও পিছপা হন না অনেক বয়স্ক ও বিবেচক নারীও।

একসময় ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল বাংলাদেশে প্রথম প্রথম আসবার পর পর একটা সোপ সিরিয়াল মহাবিখ্যাত ছিল। সিরিয়ালের নাম, ‘কিঁউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’। এই কথার অর্থ হচ্ছে, ‘কেননা শাশুড়িও কখনো পুত্রবধু ছিল’। এই সিরিজ আমি দেখিনি। তার কারণ, প্রথমত, সে সময় অনেক ছোট ছিলাম, স্কুলে পড়ি, ফলে এইসকল সিরিজ দেখার অনুমতি ছিল না এবং দ্বিতীয়ত, সিরিজের নাম শুনে কোনওদিন লুকিয়েও দেখার ইচ্ছে হয়নি। সব সময়ই মনে হতো এটা কেমন নাম?

মায়েরা পুত্রসন্তানকে স্নেহ দেখাতে গিয়ে অকর্মণ্য ও অপদার্থ হিসেবে তৈরি করেন। ভালোবাসার প্রমাণ দেখাতে গিয়ে ছেলেকে পানিটাও ঢেলে খেতে দেন না এবং গর্বের সঙ্গে বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে কোনদিন কোনও কাজ করতে দিইনি। আমার ছেলে আমাকে ছাড়া মাছটাও বেছে খেতে পারেনা’’

বছরের পর বছর এই টিভি সিরিজ দেখেছে ভারতীয় উপমহাদেশের লোকজন। নিশ্চয়ই কোটি কোটি টাকার ব্যবসাও করেছে এই সিরিজ। কিন্তু এই সিরিজের মূল বিষয়বস্তু ছিল শাশুড়ি এবং পুত্রবধুর দ্বন্দ্ব। পুরুষের পরিবারে নারীর সঙ্গে নারীর শত্রুতা তৈরি করে রাখার ক্লাসিক উদাহরণ এই দ্বন্দ্ব। একে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে জায়েজ করে ছেড়েছে এই সিরিজ। তুমুল জনপ্রিয় এই সিরিজকে উদাহরণ স্বরূপ সামনে এনে শ্বশুরবাড়ী ও শাশুড়ির গুষ্টি উদ্ধার করতে দেখেছি অনেক শিক্ষিত নারীকেও। এই সময়ে এত বছর পরও আমি আমার স্কুলের সহপাঠীদের অনেককে দেখেছি যে বাড়ির ছেলেকে নিয়ে সে সংসার করছে, যার সন্তান সে গর্ভে ধারণ করছে তার পরিবার নিয়েই লালন করছে চরম বিদ্বেষ।

এই বিদ্বেষের সূচনা এই সিরিজ করেনি। এটা যুগে যুগে হয়ে এসেছে। গর্ভজাত পুত্রকে নিজের সম্পত্তি ও একচ্ছত্র অধিকারের বস্তু মনে করেন কিছু মায়েরা। নিজ পুত্র স্ত্রীর সঙ্গে সুখী হলে তা আর স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না তারা, মনে করেন মায়ের আদর ভালোবাসা বা স্নেহ বোধহয় কমে যাচ্ছে। মায়েরা পুত্রসন্তানকে স্নেহ দেখাতে গিয়ে অকর্মণ্য ও অপদার্থ হিসেবে তৈরি করেন। ভালোবাসার প্রমাণ দেখাতে গিয়ে ছেলেকে পানিটাও ঢেলে খেতে দেন না এবং গর্বের সঙ্গে বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে কোনদিন কোনও কাজ করতে দিইনি। আমার ছেলে আমাকে ছাড়া মাছটাও বেছে খেতে পারেনা’’— ইত্যাদি।

সন্তানের জীবনে নিজেকে অপরিহার্য করে তোলার এই অদরকারি দৌড়ে পিছিয়ে পড়তে চান না কোনও মা-ই। এই রকম মামা’স বয় হয়ে বড় হওয়া ছেলেটি যদি পরিপার্শ্ব থেকে শিখে বৈবাহিক জীবনে প্রবেশ করে কর্মজীবী স্ত্রীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ঘরকন্নার কাজ করেন তাহলে মায়েরা খুশি হবার বদলে দুঃখে মরে যান, তার ননীর পুতুল ছেলেকে বউ মনে হয় বয় বেয়ারা বানিয়ে ফেললো। সেই একই মা কিন্তু নিজের বন্ধুত্বপূর্ণ জামাতাকে নিয়ে গর্ব করতে ছাড়েন না। নিজের মেয়েকে সাহায্য করা পরের ছেলেকে তার চাকর খানসামা মনে হয় না, মনে হয় প্রেমময় স্বামী।       

প্রাপ্তবয়স্ক পুত্র ঘরে ফিরে মাকে চা বা পানির জন্য হুকুম করতে দ্বিধা বোধ করে না। নিজের মাকে যে ব্যক্তি দাসীবাঁদির মতন হুকুম করে অভ্যস্ত হয়, সে নিজের স্ত্রীকে বা অন্য নারীকে মানুষ মনে করবে কী করে? তাই স্ত্রী হোক, বন্ধু হোক সহকর্মী হোক, নারী দেখলেই হুকুম করবার একটা অলিখিত অধিকার বোধ করে পুরুষেরা।

এই একপেশে ও স্বার্থপর অন্ধত্বকে পুরুষনির্মিত সমাজ সভ্যতায় আজীবন মহান করে দেখানো হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক পুত্র ঘরে ফিরে মাকে চা বা পানির জন্য হুকুম করতে দ্বিধা বোধ করে না। নিজের মাকে যে ব্যক্তি দাসীবাঁদির মতন হুকুম করে অভ্যস্ত হয়, সে নিজের স্ত্রীকে বা অন্য নারীকে মানুষ মনে করবে কী করে? তাই স্ত্রী হোক, বন্ধু হোক সহকর্মী হোক, নারী দেখলেই হুকুম করবার একটা অলিখিত অধিকার বোধ করে পুরুষেরা। এই দোষ মায়েদের, সকল মায়েদের বলা ঠিক হবে না, পুত্রস্নেহে অন্ধ মা এবং কোনও কোনও সময় পরিবারের অন্যান্য নারীরও।  

কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এই একপেশে পুরুষনির্মিত ধ্যানধারণার দুনিয়ায় মা নিয়ে কথা বলা একটা বিরাট বেয়াদবী হিসেবে গণ্য হয়। মা মাত্রই মহান, মা মাত্রই ত্যাগী, মা মাত্রই চিরদুখী। খুব কম পুরুষকেই দেখবেন নিজের মায়ের শক্তি সাহস আত্মসম্মানবোধ ও লড়াই সংগ্রাম নিয়ে গর্ব করতে। এরা গর্ব করেন মায়ের ত্যাগ, মায়ের স্নেহ এবং মায়ের মজুরিবিহীন গৃহশ্রম নিয়ে, মায়ের ‘থ্যাংকলেস জব’ যা পরিবারে গৃহকর্মীর পেছনে খরচটা বাঁচিয়ে দেয়। একজন রান্নার লোক রাখবার যে খরচ তা বহন করা যে কোনও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই কঠিন। কিন্তু এই খরচ বেঁচে যাওয়ার কথা না বলে তারা বলেন মায়ের হাতের রান্না কত উপাদেয়, কত স্নেহমাখা, কত অসাধারণ।

সুতরাং পুত্রসন্তানদের মা নিয়ে এত আহ্লাদের পেছনে যেমন স্বার্থ জড়িত, আরাম আয়েশ ও মাগনা কাজ করিয়ে নেওয়ার ধান্দা জড়িত, মায়েদেরও পুত্রসন্তানদের নিয়ে আদিখ্যেতার পেছনে রয়েছে আধিপত্য, স্বার্থ ও নিরাপত্তার চিন্তা। মাতৃত্বকে মহান করে দেখানোর এই চর্চা বন্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। মায়ের কাছ থেকে সন্তানের সঠিক শিক্ষা পাওয়া জরুরি।

মায়ের দায় হচ্ছে পুত্রকন্যা নির্বিশেষে সকল সন্তানকে মানুষ করা। ছেলেকে নারীর প্রতি সম্মান শিক্ষা দেওয়া— নারীকে দাসীবাঁদি মনে করা শেখানো নয়। ছেলেকে মামা’স বয় আর মেয়েকে দাসমনোবৃত্তি শেখানো নয়। মায়েরা যতদিন না এই বিষয়গুলো উপলব্ধি করবেন ততদিন পরিবারগুলো নারীর সঙ্গে নারীর শত্রুতার কেন্দ্র হিসেবেই বিদ্বেষের চাষাবাদ করতে থাকবে। মায়েদের এই অন্ধত্ব থেকে মুক্তি হোক, পুত্রদের মুক্তি হোক মিথ্যে মোহ থেকে।

লেখক: কবি ও সাংবাদিক
ইমেইল: ummerayhana@gmail.com

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত