বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দ্বৈরথ এমনিতেই উত্তেজনার ঢেউ তোলে। বারুদে ম্যাচে ফুটবলপ্রেমীদের মাতিয়ে রাখে। রিয়ালে জোসে মরিনহোর আমলে সেই উত্তাপ আরও বেশি ছিল। কোচ হিসেবে তার বিশালত্ব তো ছিলই, এর সঙ্গে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আলাদা রসদ যোগ করতো এল ক্লাসিকোতে। অবশ্য তিন বছরেই শেষ হয় তার রিয়াল অধ্যায়। মাদ্রিদের ক্লাবটি রাখতে চাইলেও ছেড়ে গিয়েছিলেন মরিনহো। একযুগ আগের ওই সিদ্ধান্ত এখনও আক্ষেপ হয়ে আছে পর্তুগিজ কোচের মনে।
২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দায়িত্বে ছিলেন মরিনহো। এই সময়কালে খুব একটা সাফল্য যদিও পাননি, তবে কঠিন সময় পেরিয়ে রিয়ালকে সাফল্যের পথে এনেছিলেন। পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনা তখন কী দাপট। লা লিগায় তাদের একক আধিপত্য। মরিনহো বার্সেলোনার সাম্রাজ্য ভেঙে লিগ জিতেছিলেন লস ব্লাঙ্কোদের।
তবে রিয়ালে খুব বেশিদিন থাকেননি। গার্দিওলা বার্সেলোনা ছাড়ার পর তিনিও চলে যান স্পেন থেকে। ফিরে যান পুরনো ঠিকানা চেলসিতে। রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের অনুরোধও তাকে ফেরাতে পারেনি। তবে রিয়াল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ আছে মরিনহোর।
ইতালিয়ান ক্রীড়া দৈনিক কুরিয়ার দেল্লো স্পোর্তকে মরিনহো বলেছেন, “যদি পেশাদারি সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়, তাহলে বলল- ফ্লোরেন্তিনো পেরেজেকে ‘না’ বলার আক্ষেপ আছে আমার। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘মরিনহো, যেও না। তুমি সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়টা পার করেছো, এখন তোমার সামনে ভালো সময় অপেক্ষা করছে।”
কিন্তু রিয়াল সভাপতির কথা মন গলাতে পারেনি মরিনহোর। তিনি সাবেক ক্লাব চেলসির নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, “আমি জানতাম, ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের কথা সত্য। রিয়ালে ভালো সময় অপেক্ষা করছিল। কিন্তু স্পেনের লড়াকু তিনটি বছর পার করে আমি চেলসিতে ফিরতে চেয়েছিলাম।”
২০১৩ সালে মরিনহো সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছেড়েছিলেন লা লিগা ও কোপা দেল রে’র একটি করে শিরোপা জিতে। তার সময়ে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের ডাগ আউটের লড়াইও ছিল আকর্ষণীয়। একদিকে গার্দিওলা, অন্যদিকে মরিনহো। সময়ের দুই সেরা কোচের লড়াই।
মরিনহো এখন টারকিশ ক্লাব ফেনারবাচের দায়িত্বে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই যেমন জানিয়েছেন, রিয়াল চাইলে তিনি কোচ হতে রাজি।