কেভিন সিনক্লেয়ার আট নম্বরে নেমেছিলেন ব্যাট করতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার ক্রিজে আসার সময় পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান তাকে স্বাগত জানালেন এভাবে, ‘‘ ভাই, আসো, বধ্যভূমিতে আসো’’।
মুলতান আসলেই বধ্যভূমি হয়ে উঠেছিল ব্যাটারদের জন্য। স্পিনারদের দাপটে সেই টেস্টে তিন দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২৭ রানে হারাল পাকিস্তান। জয়ের জন্য ২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ১২৩ রানে। সাজিদ খান ৫টি ও আবরার আহমেদ নেন ৪ উইকেট।
২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনজামাম উল হকের সেঞ্চুরিতে মুলতানে চতুর্থ ইনিংসে ২৬১ রান করে জিতেছিল পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই রেকর্ড ভাঙার ধারে কাছেও যেতে পারেনি।
৩ উইকেটে ১০৯ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান। আজ (রবিবার) ১৫.৪ ওভারেই ৪৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান নেন ৩২ রানে ৭ উইকেট।
এটি তার ক্যারিয়ারসেরা ও টেস্টে প্রথম পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি।পাকিস্তানে কোনো সফরকারী স্পিনারেরও সেরা বোলিং রেকর্ড এটি। পাকিস্তানি অধিনায়ক শান মাসুদ সর্বোচ্চ ৫২ আর মোহাম্মদ হুরায়ারা করেন ২৯ রান।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন অ্যালিক অ্যাথানাজ। তবে সাজিদ খান, আবরার আহমেদদের স্পিনে দাঁড়াতে পারেননি অন্যরা। সাজিদ ৫০ রানে ৫টি আর লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ নেন ২৭ রানে ৪ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার সাজিদ খানের।
নিজেদের দেশে খেলা সবশেষ ৩ টেস্টে প্রতিপক্ষের ৬০ উইকেট নিয়েছে পাকিস্তান। এই ৬০ উইকেটের সবগুলেোই স্পিনারদের!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২৩০ ও ১৫৭ (মাসুদ ৫২, হুরায়রা ২৯, কামরান ২৭; ওয়ারিকান ৭/৩২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৭ ও ১২৩ (অ্যাথানাজ ৫৫, ইমলাচ ১৪; সাজিদ ৫/৫০, আবরার ৪/২৭)।
ফল: পাকিস্তান ১২৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাজিদ খান।