Beta
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

অবসর ঘোষণার পরদিন ‘কেক কেটে’ উদযাপন মুশফিকের

ওয়ানডে অবসরের পরদিন দুই দলের সঙ্গে কেক কেটে উদযাপন মুশফিকের। ছবি : সৌজন্য
ওয়ানডে অবসরের পরদিন দুই দলের সঙ্গে কেক কেটে উদযাপন মুশফিকের। ছবি : সৌজন্য
[publishpress_authors_box]

রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড প্রান্তে ছোট একটি টেবিল আনা হলো। তাতে শোভা পেল একটি কেক। মুশফিকুর রহিম ওই কেক কাটবেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে তার অবসরের উদযাপন হলো ছোট পরিসরে।

ছোট ওই আয়োজনে দুই দলের ক্রিকেটারদের ভীড়। মুশফিকের একদম পাশেই ছিলেন তামিম ইকবাল। ওই ভীড়ের একটু দূরে আম্পায়ারদের মাঠে প্রবেশের পথটাতে দাঁড়িয়ে হাবিবুল বাশার সুমন। তার নেতৃত্বেই অনেকটা সময় খেলেছিলেন মুশফিক।

তামিম তাই উদযাপনে ডেকে নিলেন হাবিবুল বাশারকে। শুরুতে সাবেক অধিনায়ক আসতে চাইছিলেন না। তবুও তামিম বললেন, “আপনি কি রোযা রাখছেন? তবুও আসেন, আসেন। আপনি না অধিনায়ক?”

কেক কাটা শেষ হলে দ্রুতই ড্রেসিংরুমে চলে যান মুশফিক। রোযা রেখেছেন বলে নিজের কাটা কেক নিজেই খাননি মুশফিক।

এই দিনটি একটু নির্ভার কাটাতে পারতেন মুশফিকুর রহিম। বিশ্রামের আমেজ নিয়ে থাকা দোষের কিছু ছিল না। তবুও মুশফিক মাঠে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই অভিজ্ঞ এমনই।

ওয়ানডে অবসর ঘোষণার ১২ ঘণ্টাও হয়নি, এই ফরম্যাটেই মাঠে নামলেন মুশফিক। অবশ্য এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। তাই মুশফিকের খেলতে বাধা নেই, অবশ্য চাইলে “বিশ্রাম” নিতেও পারতেন।

কিন্তু ক্যারিয়ার জুড়ে সবসময়ই পরিশ্রম, একনিষ্ঠতা মেনে চলা মুশফিক ক্রিকেটের প্রশ্নে বিশ্রামকে প্রশ্রয় দেন কম। তাই রোযা রেখে ৫০ ওভার ফিল্ডিং করেছেন বৃহস্পতিবার। অবশ্য পরে আর ব্যাট করেননি। তার ক্রিজে নামার আগেই মোহামেডান লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় নিশ্চিত করে।

এর আগে মোহামেডানের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে গার্ড অব অনার পেয়েছেন মুশফিক। দিনের শুরুটা যোগ্য সম্মানের সঙ্গে হয়েছে তার। এর আগে টসের সময় তামিমকে নিয়ে মোহমেডানের অধিনায়ক তামিম বলেছেন, “ সে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা শুভেচ্ছাদূতদের একজন। সে তার ক্যারিয়ারে অনেক কিছু অর্জন করেছে। আমি সবসময়ই একটা কথা বলি, বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক বড় ক্রিকেটাররাই এসেছেন কিন্তু যদি কাউকে অনুসরণ করতে হয় সে অবশ্যই মুশফিকুর রহিম।”

খারাপ লাগার কথা জানিয়েছেন তাইজুল ইসলামও, “এটা সত্যি খারাপ লাগার। উনি অবশ্যই তার জন্য ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমার জাতীয় দলে ১২-১৩ বছর হয়ে গেছে। তার সঙ্গে ওয়ানডেতে আর ড্রেসিংরুম শেয়ার করা হবে না এটা খারাপ লাগার।”

ম্যাচ শেষে মুশফিক আবারও মাঠের আলোচনার কেন্দ্র। দুই দলের সবাই তার সঙ্গে হাত মেলালেন। কয়েকজন বুকে জড়িয়ে নিলেন। দূর থেকে মিরপুরের দীর্ঘদিনের পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাও হাত তুলে অভিবাদন জানালেন। এ যেন অন্যরকম অভিনন্দন। শুরুর নয় শেষের অভিনন্দন। মুশফিকের ওয়ানডে অবসরের শেষদিনটি তাই ভালোই কাটল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত