Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

বিজিপিসহ মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিককে হস্তান্তর বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের মধ্যে ১০০ জনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঘুমধুম থেকে টেকনাফের হ্নীলায় সরিয়ে নেওয়া হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের মধ্যে ১০০ জনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঘুমধুম থেকে টেকনাফের হ্নীলায় সরিয়ে নেওয়া হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যসহ দেশটির ৩৩০ জন নাগরিককে বৃহস্পতিবার হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বুধবার দুপুরে এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এতে জানানো হয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের ইনানীতে অবস্থিত নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্যসহ মিয়ানমারের ৩৩০ জন নাগরিককে দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত তীব্র রূপ নিয়েছে। রাখাইন প্রদেশে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির হামলায় টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে বিজিপির সদস্যসহ ওই ৩৩০ জন বাংলাদেশে নেন। তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয় ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশে দুজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

২০১৭ সালে রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও প্রায় তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল। সবমিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে বাস করা রোহিঙ্গা নাগরিকদের সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ, যারা কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন।

বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ২০২১ সালে মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ভয়ও পাচ্ছেন সীমান্তবাসী। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত