Beta
শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫

বিপিএলেও নাহিদ রানার গতির ঝড়, উড়ছে রংপুর

rangpur-90
[publishpress_authors_box]

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে গতির ঝড় তুলেছিলেন নাহিদ রানা। তার বোলিংয়ের ধার মুগ্ধতা ছড়িয়েছে গোটা ক্রিকেটবিশ্বে। জাতীয় দলের পারফরম্যান্স তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ধরে রেখেছেন। রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে আগুন ঝরাচ্ছেন রীতিমতো। ডানহাতি পেসারের তোপে এবারের বিপিএলে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে রংপুর।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৪ রানে হারিয়েছে রংপুর। নির্ধারিত ২০ ওভারে নুরুল হাসান সোহানরা ৬ উইকেটে করে ১৫৫ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২১ রান করতে পারে সিলেট। রংপুরের এটি টানা দ্বিতীয় জয়। আগের ম্যাচে তারা ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়েছিল ৪০ রানে।

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের স্লো উইকেটের বদনাম আছে। বিপিএল কুড়ি ওভারের টুর্নামেন্ট হওয়ায় এই স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে সমালোচনা হয় বরাবরই। তবে এবারের বিপিএল নতুনভাবে আয়োজন করার ঘোষণা দিয়ে বিসিবি জানিয়েছিল, উইকেট যতটা সম্ভব স্পোর্টিং করবে তারা। প্রথম তিন ম্যাচের স্কোর ভালো উইকেটের আভাস দিয়েছিল। তবে চতুর্থ ম্যাচে ‘পুরনো চেহারায়’ ফিরল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পিচ।

বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে রংপুর ও সিলেটের ব্যাটারদের। টসজয়ী রংপুর ২৮ রান তুলতে হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে। এরপর ইফতিখার আহমেদ ও সোহানের চমৎকার ব্যাটিংয়ে পায় লড়াই করার মতো পুঁজি।

সোহানের শুরুটা নড়বড়ে হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। রংপুর অধিনায়ক ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কা খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। অন্যদিকে ইফতিখার অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে। ৪২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়।

সিলেটের দুই পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও আল-আমিন হোসেন দুজনই নেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রিস টপলি ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।

১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নাহিদ রানার তোপে মুখে ১২১ রানে অলআউট সিলেট। এই পেসার আগের ম্যাচে দারুণ বোলিং করলেও উইকেট পাননি। সিলেটের বিপক্ষে সেটা ‘সুদ’সহ তুলে নিয়েছেন। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা নাহিদ রানার শিকার- জাকির হাসান (১৮), পল স্টারলিং (৬), জাকের আলী (২৪) ও সামিউল্লাহ (৮)। সিলেটের সর্বোচ্চ রান রনি তালুকদারের। এই ওপেনার ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেন ৪১ রান।

নাহিদ রানার পাশাপাশি বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তার। খুশদিল শাহ ছিলেন আরও মিতব্যয়ী। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত