Beta
মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪

রাজস্ব আদায় বাড়লেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি

IMG_8323
Picture of জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায় রাজস্ব আহরণ বাড়লেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

১১ মাসের এই আহরণ ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা বা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।

বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ৮৫ হাজার ৬২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে।

গত জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এনবিআরের। সে হিসাবে অর্থবছরের ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রা থেকে মাত্র ১ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে।

এনবিআরের হালনাগাদ প্রতিবেদনের হিসাব অনুযায়ী আরও জানা গেছে, অর্থবছরের ১১ মাসে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৯.৫৮ শতাংশই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে যোগান দেওয়ার জন্য এনবিআরকে প্রাথমিকভাবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। পরে তা সংশোধন করে ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

এ অবস্থায় বিদায়ী অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শেষ মাসে বা জুন মাসেই মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২১ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “অর্থবছরের শেষ মাসে রাজস্ব আহরণের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ জমা হয়। বিশেষ করে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর বা শুল্ক শেষ মাসে একটা চূড়ান্ত হিসাব হয়ে থাকে। এছাড়া শেষে মাসে অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এনবিআর অগ্রিম কর নিয়ে থাকে।”

সব মিলে এনবিআর বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এনবিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী- বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে সবচেয়ে বেশি ১৮ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে আয়কর খাতে। খাতটিতে মে পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৯২ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। এ সময়ে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) খাতে। মে মাস পর্যন্ত এই খাতে মোট আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। তবে এই আদায় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা কম। মে মাস পর্যন্ত খাতটি থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।

১১ মাসে রাজস্ব আদায়ে সবচেয়ে কম, মাত্র ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাতে। খাতটি থেকে এই সময় পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ৯১ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এই আদায় ১১ মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৮ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা কম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত