Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সেঞ্চুরি, চারশো রানের ম্যাচে ও শেষ বলে ছক্কায় শুরু এনসিএল টি-২০

জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করেছেন জিসান আলম। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করেছেন জিসান আলম। ছবি : সংগৃহীত
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

[publishpress_authors_box]

জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির শুরুকে আইপিএল শুরুর সঙ্গে মেলানো খুব বেশি কিছু হয়ে যাবে। তবুও এই ফরম্যাটে রানের বুভুক্ষু বাংলাদেশের জন্য এমন ম্যাচকে আইপিএল বিশেষণ দেওয়াই যায়। সেঞ্চুরি, ঝড়ো ব্যাটিং, চারশো রানের ম্যাচ ও শেষ বলে ছক্কায় জয়। কি হয়নি!

নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সফল শুরুর সঠিক বিজ্ঞাপন হয়ে গেল সিলেটে। ঢাকা বিভাগ ও সিলেট বিভাগের রোমাঞ্চকর ম্যাচের নিষ্পত্তি হলো শেষ বলে ছক্কায়। জয়ের জন্য এক বলে ৫ রানের দরকার ছিল ঢাকার। তুফায়েলের ফুলটস বলটিতে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা ম্যাচে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন শুভাগত হোম।

ম্যাচে আগে ব্যাট করে সিলেট ৪ উইকেটে ২০৫ রান তোলে। জবাবে ঢাকা ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তোলে। সিলেটের হয়ে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেন জিসান আলম। মাত্র ৫৩ বলে ৪ চার ও ১০ ছক্কায় ১০০ রান তার। স্বীকৃত ক্রিকেটে জিসানের এটা প্রথম সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতেও প্রথম।

জিসানের ব্যাটিংয়েই ম্যাচটিকে আইপিএলের প্রথম ম্যাচের সঙ্গে মেলানো যায়। এর আগেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হয়েছে। তবে সেসব এক বা দুই মৌসুমের জন্য। এবারের আসরটিকে নতুন যুগের সূচনাও বলা চলে। বিসিবি থেকেই জানানো হয়েছে এই আসর চলবে লম্বা সময়।

২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে ১৩ ছক্কায় ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের ওই ইনিংস আইপিএলকে সফল টুর্নামেন্ট হওয়ায় পথ করে দেয়।

জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিকে সফল করতে উদ্বোধনী দিনে জিসানের ১০ ছক্কার ১০০ অবদান রাখবে বলাই যায়। এদিন জিসান টানা সাত বলে সাতটি ছক্কা ম্যারেছেন। এক ওভারের শেষ ৫ বলে ৫টি ও পরের ওভারের শুরুর দুই বলে দুটি। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন। এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও তার।

জিসানের তান্ডব শেষের পর ঢাকার ইনিংসে তান্ডব শুরু হয় আরিফুলের। জিসান ও আরিফুল একসঙ্গে খেলেছেন যুব বিশ্বকাপে। এক জনের জবাবে আরেকজনের বিধ্বংসী ইনিংস একই ম্যাচে। ঢাকার হয়ে রান তাড়ায় নেমে আরিফুলের সাহসী ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। মাত্র ৪৬ বলে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ৯৪ রানে আউট হন আরিফুল। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও ম্যাচ সেরা হয়েছেন এ ব্যাটারই।

পঞ্চম উইকেটে মাহিদুল অঙ্কনের অপরাজিত ২৩ বলে ৩০ ও শুভাগত হোমের ১৮ বল ৩১ রানে ৬৩ রানের জুটিতে ম্যাচ জয় নিশ্চিত হয় ঢাকার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রানের দরকার ছিল ঢাকার। শেষ তিন বলে ১১ রানের মধ্যে শেষ বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন শুভাগত হোম।

সিলেট অ্যাকাডেমি মাঠে অন্য ম্যাচে ঢাকা মেট্রো ৩১ রানের সহজ জয় পেয়েছে বরিশালের বিপক্ষে। আগে ব্যাট করে ঢাকা মেট্রো ৪ উইকেটে ১৯২ রান তোলে। জবাবে বরিশাল ৮ উইকেটে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত